নিজস্ব প্রতিবেদক:
নওগাঁ ও ঠাকুরগাঁও-এ দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। এ লক্ষ্যে দুটি আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘বঙ্গবন্ধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়-নওগাঁ আইন, ২০২২’ এবং ‘ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২২’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়-নওগাঁ আইনের খসড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য খসড়ার মতোই এটি অনুমোদন পেয়েছে। আগে বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে, সেই অনুযায়ী নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে।’
নওগাঁয় একটি পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইনটি আনা হয় বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য আইনের মতো এখানে ৫৬টি ধারা হয়েছে। এখানে রাষ্ট্রপতি আচার্য হবেন। তিনি স্বনামধন্য একজন শিক্ষাবিদকে চার বছরের মেয়াদে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেবেন। দুই জন থাকবেন উপ-উপাচার্য, একজন থাকবেন ট্রেজারার।’
অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এখানে একটি তহবিল থাকবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও রেজিস্ট্রার অফিস থাকবে। খসড়া আইনে আরও বলা হয়েছে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম ও শিক্ষাক্রম পরিচালনার জন্য বিধি-প্রবিধি করে নিতে পারবেন। বিধি ও প্রবিধিতে সবকিছু ডিফাইন করা হবে।’
ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইনের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘২০১৮ সালের ২৯ মার্চ ঠাকুরগাঁও সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ওই এলাকায় কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। সেটি করা হবে। এই আইনটিও একই জিনিস।’
এমআই