আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
গত একবছরে খাদ্যপণ্যের দাম রেকর্ড ছাড়িয়েছে। বিশ্ববাজারে সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হয় এমন পণ্যের দাম নিয়ে পরিচালিত গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা-এফএও।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত ফসল রপ্তানীতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলেও শঙ্কা জানিয়েছে সংস্থাটি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই তেল ও গ্যাসের দাম বাড়ার পাশাপাশি বিশ্ববাজারে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা-এফএও প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের তুলনায় এবার ফেব্রুয়ারিতে রেকর্ড ২০ দশমিক সাত শতাংশ দাম বেড়েছে খাদ্যশষ্যের দাম।
বেড়েছে ভোজ্যতেল ও দুগ্ধজাত পণ্যসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের দামও। পাম, সয়াবিন ও সূর্যমূখীসহ ভোজ্যতেলের দাম রেকর্ড সাড়ে ৮ শতাংশ বেড়েছে। দানাদার শস্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ শতাংশ; এর মধ্যে ভুট্টা ৫ দশমিক ১ শতাংশ আর ২ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ছে গমের দাম। দুগ্ধজাত পণ্যের দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ।
জাতিসংঘের এই সহযোগী সংস্থাটি বিশ্ববাজারে সবচেয়ে বেশি বেচাবিক্রি হয় এমন খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ে গবেষণা চালিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে দানাদার খাদ্যশস্যের পাশাপাশি ভোজ্যতেল ও দুগ্ধজাত পণ্যসহ পাঁচ ধরনের পণ্য তালিকাভুক্ত করা হয়। প্রতি মাসে খাদ্যপণ্যের গড় দামের সূচক প্রকাশ, একই সঙ্গে বিশ্ববাজার, খাদ্যশস্য ও পণ্যের উৎপাদন সম্পর্কে পূর্বাভাসও দেয় এফএও।
উচ্চ খাদ্যমূল্যের কারণে মুদ্রাস্ফীতিও বেড়েছে বিশ্বজুড়ে। এতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আমদানি নির্ভর দরিদ্র দেশগুলো।
খাদ্যপণ্যের দাম লাগামহীন বাড়তে থাকায় উদ্বেগ জানিয়েছেন এফএও'র অর্থনীতিবিদ উপালি গ্যালকেটি আরাচিলেজ। শস্যের বর্তমান অবস্থা এবং রপ্তানির প্রাপ্যতা নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে মনে করেন তিনি।
সময় জার্নাল/ইএইচ