মোঃ আব্দুল্লাহ কাদের, মালদ্বীপ থেকে: মালদ্বীপে বাংলাদেশ দূতাবাসে, এই প্রথম কার্যক্রম চালুর মধ্যে দিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য বিশ্বের সর্বাধুনিক ই-পাসপোর্ট পাওয়ার পথ সুগম হলো।
মালদ্বীপ কনস্যুলেটের ওয়েলফেয়ার এসিসটেন্ট আল মামুন পাঠান এর সঞ্চালনায় ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ শাহানারা খাতুন, অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনার জনাব মোহাম্মদ সোহেল পারভেজ (ভারপ্রাপ্ত)।
(৬ মার্চ) রবিবার বেলা ১১টায় মালদ্বীপের হুলেমালে বাংলাদেশ দূতাবাসের হলরুমে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠান শুরু হয়, কোরান তিলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে। ছয়জন প্রবাসী বাংলাদেশীর ই-পাসপোর্ট আবেদন গ্রহণের মাধ্যমে শুভ উদ্বোধন কার্যক্রম শুরু করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মোসাম্মৎ শাহানারা খাতুন।
উক্ত অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্ণেল জনাব মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম (পিএসসি উপ-প্রকল্প পরিচালক ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প), মালদ্বীপ হাইকমিশনের তৃতীয় সচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ভূঁইয়া, প্রবাসী শিক্ষক মীর সাইফুল ইসলাম(মালদ্বীপ আ'লীগের উপদেষ্টা) মালদ্বীপের সুনামধন্য ব্যাবসায়ী ও গ্লোবাল রীচ প্রাঃ লিঃ এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও দ্বিতীয় বার নির্বাচিত হওয়া সি আই পি মোঃ সোহেল রানা, প্রবাসী শিক্ষা উদ্যোক্তা ও মিয়াজ ইন্টারন্যাশনাল এর প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ মোত্তাকি, মালদ্বীপ আ'লীগের সভাপতি মোহাম্মদ দুলাল মাতবর, মালদ্বীপ আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দুলাল হোসেন।
এ উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত এক বক্তব্যে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বলেন ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের আরও একটি স্বপ্ন পূরণ হলো। ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী আরও নিরাপদ ও বিশ্বাসযোগ্যতার অধিক তথ্য সংরক্ষণের জন্য অত্যাধুনিক চিপের অন্তর্ভুক্তি, উন্নত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য, বৈধতার মেয়াদ বৃদ্ধি ও স্মার্ট ইমিগ্রেশনসহ বাংলাদেশকে বিশ্বে উন্নত স্তরে উপাস্থাপন করতে সহযোগিতা করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ সোহেল পারভেজ বলেন, বর্তমান সরকার রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রবাসীদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। সে লক্ষ্যেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদেশের মিশনগুলোতেও এই সর্বাধুনিক কার্যক্রম সম্প্রসারিত করা হচ্ছে। এর ফলে প্রবাসীরা উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারবেন এবং তাদের ভ্রমণ আরও সহজ হবে।ই-পাসপোর্ট চালুর ফলে প্রবাসীদের ভোগান্তি অনেক কমে যাবে। তা লছাড়া, ব্যবসা, শিক্ষা, পর্যটনসহ নানা কাজে বাংলাদেশে বেড়াতে যাওয়া বিদেশিরাও উপকৃত হবেন। এটি দেশের ভাবমূর্তিতে বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে অন্যানদের মধ্যে বক্তব্য দেন লেফটেন্যান্ট কর্ণেল, জনাব মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম (পিএসসি উপ-প্রকল্প পরিচালক ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প), আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম মালদ্বীপে শুরু হলেও ধীরে ধীরে বিশ্বের ৮০টি মিশনে এই কার্যক্রম শুরু করার মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার। আর ই-পাসপোর্টের সর্বস্তরে পৌঁছে গেলে পাসপোর্ট সংক্রান্ত সমস্ত ঝক্কি-ঝামেলার অনেকটাই কমে আসবে মনে করছেন ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞরা।
অনুষ্ঠানে মালদ্বীপ দূতাবাসের কর্মকর্তারা ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এবং ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধিবৃন্দ সহ আরও অনেক প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মালদ্বীপে রাজধানীর পাশাপাশি দ্বীপগুলোতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে ই-পাসপোর্ট নিতে পারবেন দূতাবাস থেকে। এ ছাড়া, যারা রাজধানী থেকে দুরবর্তী আইল্যান্ডে থাকেন তারা দূতাবাসের কনসুলার ক্যাম্পে ভ্রাম্যমাণ ইউনিটের মাধ্যমেই ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এমআই