নিজস্ব প্রতিবেদক:
সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার বিকেল সোয়া ৪টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা ঢাকা ত্যাগ করেন।
দ্বিপাক্ষিক সফরকালে উভয় দেশই বিদ্যমান সম্পর্ককে গভীর রাজনৈতিক সম্পৃক্ততায় একটি সমন্বিত অংশীদারিত্বে উন্নীত করতে আগ্রহী। পাশাপাশি, এই সফরকালে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জনশক্তি এবং অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাতে সহযোগিতার বিষয়টিও আলোচনায় অগ্রাধিকার পাবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে বাংলাদেশ ও ইউএইর মধ্যে চার থেকে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউএস) সই হতে পারে। কিন্তু, এ সমঝোতা স্মারকগুলো এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
দুবাইয়ের শাসকের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে দুবাই এক্সিবিশন সেন্টারের (ডিইসি) দুবাই এক্সপো পরিদর্শন করবেন এবং আন্তজাতিক নারী দিবস উপলক্ষে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনার অংশ নেবেন।
পরে তিনি ডিইসিতে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন ও ইউএই প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ডিইসিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুমের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
৯ মার্চ শেখ হাসিনা আবুধাবির যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ বিন সুলতান আল-নাহিয়ান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতির মাতা শেখ ফাতিমা বিনতে মুবারকের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সন্ধ্যায়, তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর আয়োজিত এক নৈশভোজে যোগ দেবেন।
১০ মার্চ প্রধানমন্ত্রী সকালে এফএও রিজিওনাল কনফারেন্স ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকে যোগ দেবেন। সন্ধ্যায় তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাংলাদেশ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের যৌথ আয়োজনে এক বিজনেস ফোরামে যোগ দেবেন।
১১ মার্চ সফরের শেষ দিনে শেখ হাসিনা প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি আয়োজিত এক অভ্যর্থনায় যোগ দেবেন।
এছাড়াও, তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমায় বাংলাদেশি কমিউনিটি পরিচালিত ‘বাংলাদেশ ইংলিশ প্রাইভেট স্কুল’ এর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
১২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিজি-১৩০২ এর একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন।
এমআই