আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
রাশিয়ার কাছ থেকে তেল-গ্যাস আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চাপ দিতে এ ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে হোয়াইট হাউসে বক্তৃতাকালে বাইডেন বলেন, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য 'রাশিয়ার অর্থনীতির প্রধান ধমনী'।
তিনি বলেন, 'আমরা রাশিয়ার তেল-গ্যাস ও জ্বালানি আমদানি নিষিদ্ধ করছি। তার মানে মার্কিন বন্দরে রাশিয়ার তেল আর গ্রহণযোগ্য হবে না। এর মাধ্যমে আমেরিকান জনগণ পুতিনের যুদ্ধযন্ত্রে আরেকটি শক্তিশালী ধাক্কা দেবে।
বাইডেন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বুঝতে পারে-তার অনেক ইউরোপীয় মিত্র একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার মতো 'অবস্থানে নাও থাকতে পারে'।
তিনি বলেন, সম্মিলিতভাবে ইউরোপীয় দেশগুলোর তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র অভ্যন্তরীণভাবে অনেক বেশি তেল উৎপাদন করে।
'আমরা এই পদক্ষেপ নিতে পারি কিন্তু অন্যরা পারে না। তবে আমরা ইউরোপ এবং আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে রাশিয়ান জ্বালানির ওপর তাদের নির্ভরতা কমাতে একটি দীর্ঘমেয়াদী কৌশল তৈরি করতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি', বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। ইতোমধ্যে ইউক্রেনের প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এ ছাড়া দেশটির দুই হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং রাশিয়ার ১১ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
অন্যদিকে রাশিয়া দাবি করেছে, যুদ্ধে তাদের ৪৯৮ সৈন্য নিহত এবং ইউক্রেনের ২ হাজার ৮৭০ জনের বেশি ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ হামলায় এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ৩৬৪ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। যদিও সংস্থাটি বলেছে, এটি নিশ্চিত যে প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা হয়তো অনেক বেশি।
সূত্র : আলজাজিরা