সময় জার্নাল প্রতিবেদক :
বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি ভর্তুকি দিয়ে হলেও স্থিতিশীল রাখতে। বড় পরিবর্তন হলে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তবে, সরকার এখনই বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম বাড়াতে চায় না।’ সোমবার বিদ্যুৎ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে উপরোক্ত কথা বলেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। যৌথভাবে এ মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স (এফইআরবি) ও বিসিপিসিএল।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা বিশ্বের দশম দেশ হিসেবে আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করতে যাচ্ছি। আমাদের ১৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন। শীত মৌসুমে বিদ্যুৎ রপ্তানির পরিকল্পনা চলছে। ৬০ লাখ সোলার হোমস সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিপিসি এখন দৈনিক ৮০ কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছে। মাসে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা কতদিন এভাবে চালানো যাবে, সেটিই প্রশ্ন। দিন-রাতের মধ্যে ছয় হাজার মেগাওয়াট চাহিদার তারতম্য রয়েছে। এটা বেশ জটিল।’
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যতিক্রম, প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহে এগিয়ে। সন্দ্বীপে, রাঙ্গাবালিতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। ওই অঞ্চলের মানুষও একসময় বিশ্বাস করতে চাননি বিদ্যুৎ পাবেন বলে। হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যমুনা, তিস্তার অনেক দুর্গম চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
বিসিপিসিএল-এর সিইও এ এম খোরশেদুল আলম বলেন, ‘সম-অংশীদারত্বের ভিত্তিতে চীনের সঙ্গে বিসিপিসিএল গঠিত হয়েছে। পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ৩৭ মাসের মধ্য নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এটি বিশ্বে সবচেয়ে কম সময়ে আধুনিক কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের রেকর্ড।’
কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ওপর প্রভাব পড়বে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে খোরশেদুল আলম বলেন, ‘ছয় হাজার ৩০০ কিলো ক্যালরি কয়লার দাম বেড়েছে, আমরা কিনছি পাঁচ হাজার কিলো ক্যালরি, যার দাম ১০৫ থেকে ১০৭ ডলার পড়ছে। সে কারণে এখনও সমস্যা দেখছি না।’
এফইআরবি চেয়ারম্যান শামীম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পাওয়ার সেল-এর মহাপরিচালক মোহাম্মাদ হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এফইআরবি ইডি রিসান নসরুল্লাহ।
সময় জার্নাল/ইএইচ