জীবন হক, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও শহরের কাজি পাড়ায় দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় গোপনাঙ্গ চেপে ধরে আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হওয়া বাদাম বিক্রেতা জাবেদের(২৮) লাশ নিয়ে রাস্তায় নেমেছে এলাকাবাসী। সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে হাজারো মানুষ। ৩ ঘন্টা অবরোধে রাস্তায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার(১৫ মার্চ) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদরের কালিতলা এলাকায় জাবেদ ইসলামের মরদেহ নিয়ে সড়ক অবরোধ করতে দেখা যায়। পরে সদর থানার ওসি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয় ও ২ জনকে আটক করা হয়েছে জানান ওসি তানভীরুল ইসলাম।
এলাকাবাসী রাজ্জাক জানান, পুলিশ সঠিক তদন্ত ও দোষিদের বিচারের বিষয়ে গড়িমসি করার চেষ্টা করছে। তারা এই হত্যাকান্ডকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাইছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই। সঠিক বিচারের নিশ্চয়তা পেলেই আমরা রাস্তা ছেড়ে যাবো।
এর আগে ১২ মার্চে প্রতিবেশির সাথে ঝগড়ায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ঠাকুরগাঁও কাজিপাড়া এলাকার নূর ইসলামের ছেলে জাবেদ ইসলাম। একই দিনে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় এই বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের পরিবার।
১৩ মার্চ দুপুরে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে মৃত্যু হয় বাদাম বিক্রেতা জাবেদের। সেদিন বিকালেই মোহম্মদপুর ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি নূর আলম সহ দুইজনকে আটক করে সদর থানা পুলিশ।
এ দিকে এলাকাবাসীর আন্দোলনে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম উপস্থিত হয়ে বলেন, জাবেদের মৃত্যু নিশ্চিত হতেই আমরা দুইজনকে গ্রেফতার করেছি। একইসাথে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। ঘটনার তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত সপ্তাহে (৭ মার্চে) গ্রামের দুই পরিবারের দুই ছোট বাচ্চা মাঠে খেলতে গিয়ে হাতাহাতি করে। এ নিয়ে পরিবার দুটির মাঝে হাতাহাতি হয়। ১২ মার্চ তারা আবারও তর্কে জড়িয়ে মারামারি করে। এসময় উভয় পক্ষে আহত হয়৷ এসময রনীর বৌ মামুনি আক্তারের বিরুদ্ধে জাবেদের গোপনাঙ্গ চেপে ধরার অভিযোগ উঠে। কিছুক্ষণ পরে গোপোনাঙ্গে ব্যথা অনুভব হলে জাবেদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এমআই