আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
রাশিয়ার হামলার শিকার ইউক্রেনের জন্য সমর্থন প্রকাশ করতে ইউরোপের তিন দেশের প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনে পৌঁছেছেন। তারা ট্রেনে করে পোল্যান্ড থেকে রেলপথে দীর্ঘ ও ঝুকিপূর্ণ যাত্রা শেষে কিয়েভে যান।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কিয়েভে কারফিউ চলাকালে পোল্যান্ড, স্লোভেনিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রীরা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
পরে চেক প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনীয়দের উদ্দেশে বলেন, তারা 'একা নন'।
রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর এই তিন প্রধানমন্ত্রীই প্রথম পশ্চিমা নেতা, যারা ইউক্রেন সফর করেছেন।
চেক রিপাবলিকের প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালা টুইটে লেখেন, 'আমরা আপনার সাহসী লড়াইয়ের প্রশংসা করি। আমরা জানি আপনি আমাদের জন্যও যুদ্ধ করছেন। আপনি একা নন, আমাদের দেশগুলো আপনার পাশে রয়েছে।'
পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাওয়েকি বলেন, ইউক্রেন হারালে ইউরোপ কখনোই একই রকম থাকবে না।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, আপনাদের এই সফর ইউক্রেনের জন্য সমর্থনের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ।
ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল টুইটারে লেখেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এবং সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন ৩০ লাখের বেশি মানুষ। এ ছাড়া যুদ্ধে ইউক্রেনের ১৩শ’ সেনা নিহত এবং রাশিয়ার ১২ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে তাদের প্রায় ৫০০ সৈন্য নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ অভিযানে ইউক্রেনে ৬৩৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪৬ শিশু রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইউক্রেনে আনুমানিক ৫ থেকে ৬ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে।
সূত্র : বিবিসি