অনুপম মল্লিক আদিত্য, জবি প্রতিনিধিঃ
ক্রমবর্ধমান শব্দদুষণ রোধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সংগঠন নবিস মার্কেটার্স এর উদ্যোগে শব্দদূষণ বিরোধী ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় শব্দদুষণ বিরোধী ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে সংগঠনটির সদস্যবৃন্দ।
মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিদ্যুৎ কুমার বালো এর নেতৃত্বে বুধবার (২৩ মার্চ) সংগঠনটি রাজধানীর পল্টন মোড়, কাকরাইল মোড় এবং শান্তিনগর মোড়ে এই ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে।
ক্যাম্পেইন শেষে বিদ্যুৎ কুমার বলেন, অপ্রয়োজনে গাড়ির হর্ণ আমাদের বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সৃষ্টি করছে যা একটা সময় ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা যদি এক ডেসিবল শব্দ কমাতে সাহায্য করে সেটাই আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।
রমনা জোনের সার্জেন্ট সুশীল চন্দ্র বলেন, আপনাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। শব্দদুষণের মত জাতীয় সমস্যা সমাধানে চাই দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ ও পরিকল্পনা।
ট্রাফিক ও যানচলাচল পরিদর্শক তারিকুল আলম সুমন বলেন, ঢাকা শহরে কোনো হর্ণ এর দরকার নেই। এখানে এমনিতেই গাড়ির গতি কম। আমি নিজে তিন বছর ধরে কোনোরকম হর্ণ বাজাই না তাতে আমার কোনো সমস্যা হয়নি এখন পর্যন্ত।
তিনি আরো বলেন, অতিরিক্ত শব্দ এবং হর্ণের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা ট্রাফিক পুলিশ যারা রাস্তায় কাজ করছি। সারাক্ষণ অতিরিক্ত শব্দের ফলে জোরে কথা বলে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। ফলে বাসায় যখন যাই পরিবারের সদস্যদের সাথেও দেখা যায় উচ্চস্বরে কথা বলি। তখন তারা মনে করে আমি রেগে আছি বা বিরক্ত হয়ে কথা বলতেছি।
কাকরাইলের ট্রাফিক সার্জেন্ট শফিকুল ইসলাম বলেন, আমিও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় ব্যাচের ছাত্র ছিলাম। আপনারা শব্দ দূষণ প্রতিরোধের মত একটা উদ্যোগ নিয়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে। আমরা সারাক্ষন রাস্তায় ডিউটি করি। অতিরিক্ত হর্ণের শব্দে মেজাজ সবসময় খিটখিটে থাকে। তাছাড়া রাতে ভালো ঘুম হয়না। এর বাইরেও নানানরকম শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হয়।
সংগঠনটির সদস্যদের মধ্যে এনামুল হক, রিয়াল মল্লিক ও সোহেল রানা বলেন কাজটা চ্যালেঞ্জিং তবে ভালো কোনো কিছু পেতে হলে অবশ্যই করতে হয়। আমরা আশা করছি তৃণমূল পর্যায়ে শব্দদূষণ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে পারবো।
এমআই