ইসাহাক আলী, নাটোর:
ডেভোলোপার কোম্পানী আইকন ও এফএনএফ গ্রুপের বিরুদ্ধে লাখ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নাটোরে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা।
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের প্রায় এক ডজন ভুক্তভুগি জানান, পার্শবর্তী বড়াইগ্রাম উপজেলার বামিহাল গ্রামের সামসুদ্দোহা হাজীর ছেলে প্রকৌশলী নূরুল হুদা তাদের এলাকার জামাই। নূরুল হুদা ঢাকার ডেভোলোপার কোম্পানী আইকন ও এফএনএফ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সে তার শাশুড়ি ও স্ত্রীর মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে এলাকার মানুষকে ডেভোলোপার কোম্পানী আইকন ও এফএনএফ গ্রুপে উচ্চ লাভে শেয়ার ও ফ্ল্যাট কেনার প্রস্তাব দেয়। এলাকার অনেক মানুষ সরল বিশ্বাসে তাদের জমি জমাসহ নানা সম্পদ বিক্রি করে আইকন ও এফএনএফ গ্রুপে শেয়ার ও ফ্ল্যাট কেনার জন্য নগদ, ব্যাংকে ও চেকের মাধ্যমে টাকা প্রদান করে।
নাজিরপুর এলাকার দানিউল ইসলাম সাড়ে ১৩ লাখ, ডাঃ রওনক মাহমুদ ১২ লাখ, শহিদুল ইসলাম ১০ লাখ, আমান হাজী ও জালাল উদ্দিন তিন লাখ করে, ফরিদা খাতুন ও হারুন অর রশীদ আড়াই লাখ করে টাকা প্রদান করে। সুনিদিষ্ট সময় শেষে লাভ বা ফ্ল্যাট কিছুই প্রদান করেনি।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে প্রথম নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সময় ক্ষেপন করলেও এখন তাদের সাথে আর কোন ভাবেই যোগাযোগ করছে প্রকৌশলী নূরুল হুদা। তার অফিসে গিয়েও সাক্ষাত পাচ্ছেন না ভুক্তভুগীরা। ক্ষতিগ্রস্থ আমান হাজী, ফরিদা খাতুন ও দানিউল ইসলাম বলেন, প্রকৌশলী নূরুল হুদার কথা মতো বার বার ঢাকায় তার অফিসে গেলেও সে আমাদের সাথে দেখা করেনি, ফোনও ধরে না। এভাবে তাদের মধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকাতেই তিনি এমন প্রতারণা করছেন বলে তারা খবর পাচ্ছেন। প্রকৌশলী নূরুল হুদা এভাবে মানুষের টাকা আত্মসাত করে ঢাকা মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে নিজের নামে একটি সাততলা বাড়ি করেছেন এবং নাটোরের গ্রামের বাড়িতে ৪০ বিঘা জমিতে পুকুর কাটার পাশাপাশি চারটি পোলট্রি ও একটি গরুর খামার করেছেন।
সাধারণ মানুষের নিকট থেকে রেভিনিউ স্ট্যাম্পে লিখিত দিয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে এভাবে লাখ লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাত করার বিষয়ে জানতে শুক্রবার দিনভর বিভিন্ন মোবাইল থেকে আইকন ও এফএনএফ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী নূরুল হুদার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি কোন ফোন রিসিভ করেননি।
এমআই