আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে রাশিয়ার ‘আস্ফালন’ বিপজ্জনক অস্ত্র প্রতিযোগিতায় ইন্ধন জোগাচ্ছে। শনিবার কাতারের রাজধানীতে আয়োজিত আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক নেতাদের দোহা ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে এই মন্তব্য করেছেন তিনি।
সম্মেলনে জ্বালানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার রাশিয়ান প্রচেষ্টা মোকাবিলায় প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে কাতারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ৩১তম দিন শনিবার দোহা ফোরামে অনলাইনে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট দেশ নয়, বরং সারা বিশ্বকে ধ্বংস করে দিতে পারে বলে রাশিয়ার বড়াই করছে।’
জেলেনস্কি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশগুলোর কাছ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তার আশ্বাসে ১৯৯০ এর দশকে ইউক্রেন তার পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত ধ্বংস করে দেয়।
‘কিন্তু এসব আশ্বাস আর নিশ্চয়তা হয়ে উঠতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া দেশগুলোর একটি এখন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে কাজ শুরু করেছে এবং এটি অন্যায়ের চূড়ান্ত প্রকাশ,’ বলেন তিনি।
বিশ্বে প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনকারী শীর্ষ তিনটি দেশের একটি কাতার। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে কাতারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানিসহ অন্যান্য দর্শকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনাদের প্রচেষ্টার ওপর ইউরোপের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।’
‘এটি আপনাদের উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর নির্ভর করছে। আমি আপনাদের জ্বালানির উৎপাদন বৃদ্ধির আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে রাশিয়ার প্রত্যেকেই বুঝতে পারে যে, কোনও দেশ অস্ত্র হিসাবে জ্বালানিকে ব্যবহার করতে পারে না।’
ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ইতোমধ্যে রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং ইতিমধ্যে তারা বিকল্প সরবরাহের জন্য কাতারের দিকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। কাতার থেকে তরল গ্যাস আমদানির জন্য দু’টি বিশাল টার্মিনাল নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি।
সূত্র: এএফপি।
এমআই