সময় জার্নাল প্রতিবেদক:
গান ও মানুষের আত্মিক বন্ধন ভাওয়াইয়া গানের প্রতি তার রয়েছে আলাদা টান ও ভালোবাসা। মায়ের কাছ থেকেই জীবনের প্রথম গানের তালিম নেয়া, সেই থেকে শুরু এরপর বিভিন্ন জনের থেকে তালিম নিয়ে সুনামের সাথে গান গেঁয়ে যাচ্ছেন পাবনার মেয়ে ভাওয়াইয়া শিল্পী সানজিদা ইয়াসমিন লাভলী। এখন তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন, রেডিও ও শিল্পকলার এনলিস্টেড শিল্পী। রয়েছে মৌলিক গানের এলবামও।
সানজিদা ইয়াসমিন লাভলীর বাড়ি পাবনা জেলায়, বড় হয়েছেন সেখানেই। বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুল জলিল শেখ, মাতা মোছাম্মদ সাবিহা খাতুন। ছোটবেলা থেকে গানের প্রতি ঝোঁক ছিল তার, শিশু বয়সেই দেশের গানসহ বিভিন্ন গান করেছেন। জীবনের প্রথম গানের গুরু তার মা হলেও এরপর নান জায়গায় গান শিখেছেন তিনি। পাবনাতে ললিত কলা কেন্দ্র ইভা নামে সংগঠনে টানা পনেরো বছর গান করেছেন। বাসায় গানের টিচার শফিক উদ্দিন আহমেদের কাছ থেকে উচ্চাঙ্গ তালিম নেন তিনি। এছাড়াও লোকগানের তালিম ও নেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই রাজশাহী বেতারের সংগঠন থেকে বিভিন্ন প্রোগ্রাম করেছেন।
২০০২ সালে পাবনা থেকে ঢাকাতে চলে আসেন সানজিদা। ঢাকায় এসেও তার গান শেখা থেমে থাকেনি, দুইজনের কাছে বাসায় বসেই লোকগানের তালিম নেন এবং ২০০৪ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে এনলিষ্টেড শিল্পী হন, এরপর থেকে এখন পর্যন্ত মোস্তফা জামান আব্বাসীর গুলসান বাড়িতে ভাওয়াইয়া গানের তালিম নিচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশ রেডিও এবং শিল্পকলার এনলিষ্টেড শিল্পী। তার একটি মৌলিক ফোক গানের এলবাম রয়েছে।
ভাওয়াইয়া শিল্পী সানজিদা ইয়াসমিন লাভলী বলেন, আমার জীবনে গানের প্রথম শিক্ষা গুরু আমার মা। ভাওয়াইয়া মানেই আমার প্রাণের ভাওয়াইয়া আর আমার মায়ের কাছ থেকেই ভাওয়াইয়া গানের সঠিক শিক্ষা নেয়া। পরবর্তীতে বিভিন্ন জায়গায় তালিম নেয়া।
তিনি আরও জানান, লোকগানের প্রতি অন্যরকম টান কিন্তু ভাওয়াইয়ার প্রতি আলাদা টান এবং ভালোবাসা। ভবিষ্যতে আমি লোকগান নিয়ে কাজ করতে চাই।
এমআই