বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

গ্যাসের চাপ নেই কারখানায়,বিদ্যুৎ যাচ্ছে ১০-১২ বার

বুধবার, এপ্রিল ৬, ২০২২
গ্যাসের চাপ নেই কারখানায়,বিদ্যুৎ যাচ্ছে ১০-১২ বার

সময় জার্নাল ডেস্ক:

গ্যাস এবং বিদ্যুতের অভাবে দেশীয় শিল্প কারখানাগুলো ধুঁকছে। গত কয়েক দিন গ্যাসের অভাবে কারখানাগুলো একপ্রকার বন্ধ রয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে অনেকে বিদ্যুৎ দিয়ে কারখানা সচল রাখতে চাইলেও তা পারছেন না।

শিল্পমালিকরা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার কারণে উৎপাদন ব্যাহত হবার পাশাপাশি কারখানার মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এক হিসেবে দেখা গেছে প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১২ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার কারণে অনেক কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় আগামী ঈদে শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং ব্যাংকের পাওনা পরিশোধ করা কারখানাগুলোর জন্য দুরূহ হবে।শিল্প খাতে গ্যাস ব্যবহারের সিংহভাগ করে থাকে টেক্সটাইল মিলগুলো। গতকাল বুধবার পর্যন্ত এ খাতের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) কাছে সদস্যগুলোর কাছ থেকে বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের বিষয়ে অভিযোগের পাহাড় জমা হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন জানিয়েছেন, এ খাতের শিল্পগুলোতে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ১৫ পিএসআই চাপ মঞ্জুর করেছে। কিন্তু দেখা গেছে, ৬০ শতাংশ কারখানার মধ্যে আছে মাত্র দুই থেকে পাঁচ। ১০ শতাংশ কারখানার পুরো পিএসআই পাওয়া যাচ্ছে। বাকি ৩০ শতাংশ কারখানার পিএসআই একবারেই নেই। তিনি জানান, যেসব কারখানায় গ্যাসের চাপ নেই সেগুলো বিদ্যুতের মাধ্যমে চালানোর উদ্যোগ নিয়েছেন উদ্যোক্তারা। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি দেখা দিয়েছে। দিনে ১০ থেকে ১২ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করায় কারখানা চালানো দায় হয়ে পড়েছে। শুধু টেক্সটাইল মিল নয়, বিভিন্ন সিরামিক কারখানা, তৈরি পোশাক শিল্প, ওয়াশিং এবং ডায়িং কারখানাও গ্যাসের স্বল্প চাপে ভুগছে। এসব কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হবার কারণে রপ্তানি আয়েও প্রভাব পড়বে বলে উদ্যোক্তারা জানান।

গ্যাস এবং বিদ্যুতের অভাবে দেশীয় শিল্প কারখানাগুলো ধুঁকছে। গত কয়েক দিন গ্যাসের অভাবে কারখানাগুলো একপ্রকার বন্ধ রয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে অনেকে বিদ্যুৎ দিয়ে কারখানা সচল রাখতে চাইলেও তা পারছেন না।

শিল্পমালিকরা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার কারণে উৎপাদন ব্যাহত হবার পাশাপাশি কারখানার মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এক হিসেবে দেখা গেছে প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১২ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার কারণে অনেক কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় আগামী ঈদে শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং ব্যাংকের পাওনা পরিশোধ করা কারখানাগুলোর জন্য দুরূহ হবে।

শিল্প খাতে গ্যাস ব্যবহারের সিংহভাগ করে থাকে টেক্সটাইল মিলগুলো। গতকাল বুধবার পর্যন্ত এ খাতের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) কাছে সদস্যগুলোর কাছ থেকে বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের বিষয়ে অভিযোগের পাহাড় জমা হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন জানিয়েছেন, এ খাতের শিল্পগুলোতে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ১৫ পিএসআই চাপ মঞ্জুর করেছে। কিন্তু দেখা গেছে, ৬০ শতাংশ কারখানার মধ্যে আছে মাত্র দুই থেকে পাঁচ। ১০ শতাংশ কারখানার পুরো পিএসআই পাওয়া যাচ্ছে। বাকি ৩০ শতাংশ কারখানার পিএসআই একবারেই নেই। তিনি জানান, যেসব কারখানায় গ্যাসের চাপ নেই সেগুলো বিদ্যুতের মাধ্যমে চালানোর উদ্যোগ নিয়েছেন উদ্যোক্তারা। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি দেখা দিয়েছে। দিনে ১০ থেকে ১২ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করায় কারখানা চালানো দায় হয়ে পড়েছে। শুধু টেক্সটাইল মিল নয়, বিভিন্ন সিরামিক কারখানা, তৈরি পোশাক শিল্প, ওয়াশিং এবং ডায়িং কারখানাও গ্যাসের স্বল্প চাপে ভুগছে। এসব কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হবার কারণে রপ্তানি আয়েও প্রভাব পড়বে বলে উদ্যোক্তারা জানান।

ভালুকার বাশার স্পিনিং মিল এবং নরডেক্স স্পিনিংয়ের উদ্যোক্তারা জানান, তারা পল্লী বিদ্যুতের ৩৩ হাজার কেভি থেকে কারখানায় লাইন নিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার কারখানা দুটিতে ১১ বার বিদ্যুৎ চলে যায়। এ ব্যাপারে অভিযোগ করে তারা পল্লী বিদ্যুৎ থেকে প্রতিকার পাননি বলে জানান। 

রাজধানীর আশপাশের বেশ কয়েকটি টেক্সটাইল মিল পরিদর্শনকালে দেখা যায়, কোনো কারখানাতেই গ্যাসের পর্যাপ্ত পিএসআই নেই। বাধ্য হয়ে তারা গ্যাস লাইনের সুইচ বন্ধ রেখেছেন। ইশরাক স্পিনিং মিলে পিএসআই শূন্যে দেখা গেছে। মোশাররফ কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলের তিন দিনের চিত্রও একই। নোমান গ্রুপের কারখানায় গ্যাসের পিএসআই দেখা গেছে আড়াই-এর মতো। এএনজেড টেক্সটাইল এবং লিটল স্পিনিংয়ে পিএসআই শূন্য থেকে কিছুটা ওপরে। রাইজিং স্পিনিং মিলস লি.-এর পিএসআইও শূন্যের ঘরে।এদিকে, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ সংকটে কারাখানায় উৎপাদন বন্ধ থাকায় শিল্পমালিকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এমনিতে কাঁচামাল সংকট এবং অতিরিক্ত পরিবহন ভাড়ার (জাহাজ এবং কাভার্ড ভ্যান) কারণে মিলগুলো ধুঁকছিল। জ্বালানি সংকটে পড়ে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ যেমন দুরূহ হবে সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকের পাওনা পরিশোধও করা যাবে না। এতে করে অর্থনীতিতে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন। বাংলাদেশের গার্মেন্টস এবং টেক্সটাইল খাতের বড় উদ্যোক্তা রাইজিং গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ হাসান খান জানালেন, মানিকগঞ্জে তার কারখানায় গ্যাস লাইন থাকলেও গ্যাসের সরবরাহ নেই। বাধ্য হয়ে তিনি ডিজেল জেনারেটর দিয়ে উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিন তিনি এ খাতে বাড়তি সোয়া ৭ লাখ টাকা খরচ করছেন বলে জানান। তার মতে, এভাবে চলতে থাকলে উদ্যোক্তাদের ব্যবসায় টিকে থাকা মুশকিল হয়ে পড়বে।উদ্যোক্তারা জানান, শুধু মানিকগঞ্জই নয়, সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর, নরসিংদী, ভালুকা প্রভৃতি এলাকায় শত শত শিল্পপ্রতিষ্ঠান গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছে। বিদ্যুতের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) সারাদেশ 

গ্যাস এবং বিদ্যুতের অভাবে দেশীয় শিল্প কারখানাগুলো ধুঁকছে। গত কয়েক দিন গ্যাসের অভাবে কারখানাগুলো একপ্রকার বন্ধ রয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে অনেকে বিদ্যুৎ দিয়ে কারখানা সচল রাখতে চাইলেও তা পারছেন না।

শিল্পমালিকরা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার কারণে উৎপাদন ব্যাহত হবার পাশাপাশি কারখানার মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এক হিসেবে দেখা গেছে প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১২ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার কারণে অনেক কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় আগামী ঈদে শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং ব্যাংকের পাওনা পরিশোধ করা কারখানাগুলোর জন্য দুরূহ হবে।

শিল্প খাতে গ্যাস ব্যবহারের সিংহভাগ করে থাকে টেক্সটাইল মিলগুলো। গতকাল বুধবার পর্যন্ত এ খাতের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) কাছে সদস্যগুলোর কাছ থেকে বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের বিষয়ে অভিযোগের পাহাড় জমা হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন জানিয়েছেন, এ খাতের শিল্পগুলোতে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ১৫ পিএসআই চাপ মঞ্জুর করেছে। কিন্তু দেখা গেছে, ৬০ শতাংশ কারখানার মধ্যে আছে মাত্র দুই থেকে পাঁচ। ১০ শতাংশ কারখানার পুরো পিএসআই পাওয়া যাচ্ছে। বাকি ৩০ শতাংশ কারখানার পিএসআই একবারেই নেই। তিনি জানান, যেসব কারখানায় গ্যাসের চাপ নেই সেগুলো বিদ্যুতের মাধ্যমে চালানোর উদ্যোগ নিয়েছেন উদ্যোক্তারা। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি দেখা দিয়েছে। দিনে ১০ থেকে ১২ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করায় কারখানা চালানো দায় হয়ে পড়েছে। শুধু টেক্সটাইল মিল নয়, বিভিন্ন সিরামিক কারখানা, তৈরি পোশাক শিল্প, ওয়াশিং এবং ডায়িং কারখানাও গ্যাসের স্বল্প চাপে ভুগছে। এসব কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হবার কারণে রপ্তানি আয়েও প্রভাব পড়বে বলে উদ্যোক্তারা জানান।

ভালুকার বাশার স্পিনিং মিল এবং নরডেক্স স্পিনিংয়ের উদ্যোক্তারা জানান, তারা পল্লী বিদ্যুতের ৩৩ হাজার কেভি থেকে কারখানায় লাইন নিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার কারখানা দুটিতে ১১ বার বিদ্যুৎ চলে যায়। এ ব্যাপারে অভিযোগ করে তারা পল্লী বিদ্যুৎ থেকে প্রতিকার পাননি বলে জানান।

ইত্তেফাকের পক্ষ থেকে রাজধানীর আশপাশের বেশ কয়েকটি টেক্সটাইল মিল পরিদর্শনকালে দেখা যায়, কোনো কারখানাতেই গ্যাসের পর্যাপ্ত পিএসআই নেই। বাধ্য হয়ে তারা গ্যাস লাইনের সুইচ বন্ধ রেখেছেন। ইশরাক স্পিনিং মিলে পিএসআই শূন্যে দেখা গেছে। মোশাররফ কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলের তিন দিনের চিত্রও একই। নোমান গ্রুপের কারখানায় গ্যাসের পিএসআই দেখা গেছে আড়াই-এর মতো। এএনজেড টেক্সটাইল এবং লিটল স্পিনিংয়ে পিএসআই শূন্য থেকে কিছুটা ওপরে। রাইজিং স্পিনিং মিলস লি.-এর পিএসআইও শূন্যের ঘরে।

এদিকে, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ সংকটে কারাখানায় উৎপাদন বন্ধ থাকায় শিল্পমালিকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এমনিতে কাঁচামাল সংকট এবং অতিরিক্ত পরিবহন ভাড়ার (জাহাজ এবং কাভার্ড ভ্যান) কারণে মিলগুলো ধুঁকছিল। জ্বালানি সংকটে পড়ে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ যেমন দুরূহ হবে সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকের পাওনা পরিশোধও করা যাবে না। এতে করে অর্থনীতিতে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন। বাংলাদেশের গার্মেন্টস এবং টেক্সটাইল খাতের বড় উদ্যোক্তা রাইজিং গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ হাসান খান জানালেন, মানিকগঞ্জে তার কারখানায় গ্যাস লাইন থাকলেও গ্যাসের সরবরাহ নেই। বাধ্য হয়ে তিনি ডিজেল জেনারেটর দিয়ে উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিন তিনি এ খাতে বাড়তি সোয়া ৭ লাখ টাকা খরচ করছেন বলে জানান। তার মতে, এভাবে চলতে থাকলে উদ্যোক্তাদের ব্যবসায় টিকে থাকা মুশকিল হয়ে পড়বে।

উদ্যোক্তারা জানান, শুধু মানিকগঞ্জই নয়, সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর, নরসিংদী, ভালুকা প্রভৃতি এলাকায় শত শত শিল্পপ্রতিষ্ঠান গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছে। বিদ্যুতের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) চেয়ারম্যান মো. সেলিম উদ্দিন ইত্তেফাককে বলেন, গরম, সেচ ও রমজানের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু সে অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে অনেক এলাকায় লোড ম্যানেজমেন্ট করে বিদ্যুৎ দিতে হচ্ছে। তবে গত দুদিনের চেয়ে এখন পরিস্থিতি কিছুটা ভালো বলে দাবি করে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন আরো বাড়লে সরবরাহও বাড়বে।


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল