সময় জার্নাল ডেস্ক : বৈশ্বয়িক মহামারি করোনাকালীন সময়ে জীবনযাত্রা যেন থেমে যাবার উপক্রম। তারপরও কি থেমে গেছে আমাদের জীবন ? থামেনি স্বপ্নগুলোও দমেনি, দমে যাবেও না। প্রতিদিন সূর্য উঠছে আবার অস্ত যাচ্ছে, তবে কেন আমাদের শিক্ষার্থীরা স্বপ্নহীন হয়ে বসে থাকবে ?
প্রতিটি শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে স্কুল-কলেজের গন্ডি পেরিয়ে সে একটি বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে। যার নাম শুনলেই সবাই চিনবে। যার থাকবে বিশাল একটি ক্যাম্পাস, সুন্দর একটি পরিবেশ। নতুন স্বপ্ন, নতুন জায়গা, নতুন কিছু বন্ধুবান্ধব, নতুন কিছু শুভাকাঙ্খী। সবচেয়ে বড় কথা হল শিক্ষাজীবনের ফেলে আসা ১২ টি বছর আর তার সাথে আগামী দিনে নিজের জীবনকে গঠন করার জন্য উচ্চশিক্ষার দাড়প্রান্তে দাড়িয়ে একজন শিক্ষার্থী তার বাবা-মার সামর্থ অনুযায়ী খুজে ফেরে প্রিয় সেই ক্যাম্পাস। সাধ, সাধ্য আর উচ্চশিক্ষার তীব্র আকাঙ্খাকে
বাস্তবে রুপ দিতেই দীর্ঘ ২ যুগ পূর্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো উচ্চশিক্ষার বাতিঘর এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। যার শ্লোগান হলো ‘স্বল্প খরচে মানসম্মত শিক্ষা’। বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা বিস্তারের স্বপ্ন নিয়ে একজন মানুষ বিদেশে আড়ম্বরপূর্ন জীবন ফেলে দেশ মাতৃকায় শিক্ষা বিস্তারের কথা ভেবে ফিরে আসেন নিজ মাতৃভুমিতে। শহর থেকে গ্রাম প্রতিটি ঘরে ঘরে উচ্চশিক্ষার আলোকবর্তিকা পৌছে দিতে সারাজীবনে দেশে বিদেশে অর্জিত মেধা মনন আর অর্থ ব্যয় করে গড়ে তোলেন শিক্ষায় নবদিগন্ত এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব
বাংলাদেশ।
একটি দেশ একটি জাতিকে এগিয়ে নিতে হলে প্রয়োজন সৎ ও দক্ষ জনবল। বিশে^র বিভিন্ন দেশে শিক্ষা ও মানবসম্পদ তৈরীর, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার মহান পেশায় দায়িত্ব পালনকালে অর্জিত জ্ঞান ও দেশের প্রতি নিজস্ব দায়বদ্ধতা থেকে এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন বিশিষ্ঠ সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যকে পুজি করে নয়, বরং সৎ,
দক্ষ, যোগ্য ও মেধাবী মানবসম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে স্বপ্ন ও সফলতার সেতুবন্ধন এইউবি।
দীর্ঘ দুইযুগের পথ পরিক্রমায় আজ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি এক সুপ্রতিষ্ঠিত নাম। একটি বিশাল ক্যাম্পাস, হাজারো তরুণ-তরুণীর স্বপ্নবুনন আর স্বপ্নপূরনের ঠিকানা।
প্রতিষ্ঠাকালিন সময় থেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। ইতোমধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা লাভ করে হাজারো শিক্ষার্থী স্ব-স্ব ক্ষেত্রে যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে চলছে। দেশে বিদেশে সকলক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা রাখছে অনবদ্য অবদান।
একটি জাতির পরিচয় তার শিক্ষার মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। এই দর্শনের উপর ভিত্তি করে এইউবি তার মিশন ঠিক করেছে। নৈতিক ও মানবীয় পথ অনুসরণ করে শিক্ষা প্রদান করা যেখানে জাতির পরিচয়, সেখানে ঐতিহ্য, মূল্যবোধ ও নীতির প্রতিফলন ঘটে। দেশের সকল স্তরের শিক্ষার্থীকে মানবসম্পদে পরিণত করার জন্য উপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করেছে।
দরিদ্র মেধাবীদের সুযোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ফুল ফ্রি স্কলারশিপ ও ওয়েভার সুবিধা। মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা দেশের তরে যুদ্ধ করেছেন সেই সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা এখানে সম্পূর্ণ বিনা খরচে পড়ালেখা করার সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়া ভাইবোন ও স্বামী-স্ত্রীরা পাচ্ছে বিশেষ ছাড়। মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের প্রতিবছর প্রায় ২ কোটি টাকার শিক্ষাবৃত্তি দেয়া হচ্ছে।
এইউবিতে ৫টি অনুষদে মোট ১২ টি বিভাগ রয়েছে। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি শুরু থেকেই বিশ^মানের শিক্ষা কারিকুলামের মাধ্যমে একাডেমিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা ও মননকে বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি বিষয়ভিত্তিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ক্যারিয়ার গাইডলাইন ওয়ার্কশপ, সাইন্স ফেস্টিভাল, সফটওয়্যার- এ্যাপস প্রতিযোগিতা, স্টাডি ট্যুর এবং বিভিন্ন ধরনের ইনডোর ও আউটডোর গেমস সহ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড অব্যাহত রয়েছে।
এইউবি স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রায় দশ একর জায়গার উপর নির্মিত। যা মনোরম পরিবেশ আর সু-নিবিড় ছায়াশীতল বিশ্বমানের ক্যাম্পাস। চমৎকার শিক্ষার পরিবেশ আর ডিজিটাল ক্যাম্পাস পেয়ে মুগ্ধ ছাত্রছাত্রীরা। সবুজে ভরপুর ক্যাম্পাসটি শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখরিত।এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ফুটবল মাঠ, ক্রিকেট মাঠ, ভলিবল ও ব্যাডমিন্টন মাঠ। এছাড়াও ইনডোর গেমে টেবিল টেনিস, ক্যারাম, দাবাসহ অন্যান্য খেলার সামগ্রী সংযোজিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ফ্রি ওয়াইফাই এবং ফ্রি যাতায়াত ব্যবস্থা।
এইউবি Teaching Efficiency Rating এর মাধ্যমে শিক্ষকদের পারফর্মেন্সের মূল্যায়ন করে থাকেন। প্রতি সেমিষ্টারে একজন শিক্ষক যে বিষয়ে পাঠদান করেন, সে বিষয়ে শিক্ষকের জ্ঞানের পরিধি, শিক্ষাদান পদ্ধতি, উপস্থাপন কৌশল ও আচরণিক বিষয়গুলো বিবেচনার মাধ্যমে এ মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে।
এইউবি’র সুবিশাল সমৃদ্ধ লাইব্রেরি এবং উন্নত কম্পিউটার ল্যাব বমানে লাইব্রেরিতে রয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে লক্ষাধিক দেশী-বিদেশী বই, জার্নাল ও গবেষণাপত্র। এখানে নিয়মিত পত্রিকা সংগ্রহিত থাকে। আধুনিক প্রযুক্তির বিষয়গুলো মাথায় রেখে লাইব্রেরিতে তিন শতাধিক সিডি-ভিসিডি রয়েছে।
এছাড়াও এইউবি’র ডিজিটাল লাইব্রেরি পদ্ধতিতে ই-বুক ও ই-জার্নালের বিশাল সংগ্রহ রয়েছে। লাইব্রেরি কক্ষে শিক্ষার্থীরা ফ্রি অনলাইন সুবিধা পাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা ও ব্যবহারিক ক্লাসের জন্য পরিচ্ছন্ন ল্যাবটিতে আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য পৃথক কম্পিউটারের ব্যবস্থা রয়েছে।
এইউবি শিক্ষার মান বজায় রাখতে এ দেশের মানুষের কাছে দায়বদ্ধ। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সৎ ও দক্ষ শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে আরো উজ্জল করে তুলে ধরবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
একটি বিশাল ক্যাম্পাস, একদল প্রশিক্ষিত ও দক্ষ শিক্ষকমন্ডলী, প্রিয় কিছু বন্ধুবান্ধব আর মেধাবী একটি প্রতিষ্ঠানের স্বপ্ন যারা দেখেছেন তাদের জন্যই এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর ভর্তি মেলা সামার সেমিস্টার ২০২১ শুরু হয়েছে। ১ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত চলবে এই মেলা।
মেলা উপলক্ষে ছাত্রছাত্রীদের জন্য থাকছে বিশেষ উপহার সহ নানাবিধ সুযোগ। আশুলিয়া স্থায়ী ক্যাম্পাসে ভর্তির ক্ষেত্রে বিবিএ,এমবিএ,সি এস ই,সি এস এবং ইংরেজিতে ভর্তিচ্ছুদের জন্য ২০% ছাড়সহ থাকবে অন্যান্য বিষয়ে বিশেষ
ছাড় । বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ : ০১৬৭৮৬৬৪৪১৭ - ১৯ । অনলাইনে ভর্তি
হতে লগ ইন করুন admission.aub.edu.bd
সময় জার্নাল/এমআই