আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া এফজিএম-১৪৮ জ্যাভলিন ম্যান-পোর্টেবল অ্যান্টি-ট্যাংক মিসাইল ট্র্যাকে লোড করছে ইউক্রেনীয় সেনারা। ফাইল ছবি
দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। আর তাই রুশ সামরিক বাহিনীর আক্রমণে বিপর্যস্ত পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির পাশে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, সামরিক জোট ন্যাটোসহ পশ্চিমা দেশগুলো।
তবে এবার যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর অস্ত্র বোঝাই পরিবহনে হামলার হুমকি দিয়েছে রাশিয়া। মূলত ইউক্রেনে পশ্চিমা দেশগুলোর অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতেই এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে মস্কো। বুধবার (১৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেন অভিমুখে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোটের পাঠানো অস্ত্রের চালান মস্কোর জন্য বৈধ লক্ষ্যবস্তু। রাশিয়া সতর্ক করে আরও বলেছে, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী পশ্চিমা হুমকির মুখে পড়লে সেটিরও কঠিন জবাব দেওয়া হবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। একসঙ্গে তিন দিক দিয়ে হওয়া এই হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বৃষ্টির মতো।
ফলে লাখ লাখ ইউক্রেনীয় তাদের বাড়ি-ঘর থেকে উচ্ছেদ হয়েছেন, প্রাণ হারিয়েছেন দেশটির বহু নাগরিক। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর হামলার জবাব দিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় নেতাদের কাছে আরও ভারী অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের দাবি জানিয়ে আসছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
ইউক্রেনীয় এই প্রেসিডেন্টের এই আবেদনের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো একের পর এক অস্ত্রের চালান ইউক্রেনের হাতে সরবরাহ করছে। এছাড়া বুধবার ইউক্রেনকে অতিরিক্ত ৮০০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এই পরিস্থিতিতে বুধবার বার্তাসংস্থা তাস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বলেন, ‘আমরা সতর্ক করছি যে, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর যেসব পরিবহন ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র বহন করবে মস্কো সেগুলোকে (হামলার জন্য) বৈধ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বিবেচনা করবে।’
এছাড়া ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান সামরিক অভিযানকে বাধাগ্রস্ত করার যেকোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে দমন করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন রুশ এই উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এমআই