এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট:
মোংলায় ইউপি মেম্বরের টর্চার সেলে আটকে রেখে দুই ভাইকে অমানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এসময় নির্যাতিতদের উদ্ধারে এগিয়ে আসা নারী সহ আরও তিনজন হামলার শিকার হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ভর্তি করে স্থানীয়রা।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার কানাইনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শালিস বিচারের নামে শনিবার সকাল ১০ টার দিকে শহরের বাংলাদেশ হোটেলের সামনে থেকে বিনদ সরকার(৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে জোরপূর্বক তুলে নেয় চাঁদপাই ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বর সুলতান হাওলাদারের পূত্র জাকির ও তার দলবল। পরে তাকে শহরের সিঙ্গাপুর মার্কেট সংলগ্ন একটি কক্ষে আটকে রেখে বেধড়ক মারধরসহ শাররিক নির্যাতন চালানো হয়।
নির্যাতনের একপর্যায়ে হাত পা বেঁধে টেনেহেচড়ে তাকে কানাইনগর এলাকায় নিয়ে গুচ্ছগ্রাম এলাকায় একটি ঘরে বন্দি রেখে মেম্বরপুত্র জাকির। সেখানে জাকিরের লাঠিয়াল বাহিনী দ্বিতীয় দফায় নির্যাতন ও মারধর সহ মাদক বেচাকেনার স্কীরোক্তি আদায়ের চেস্টা করা করে। এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় বিনদের ছোট ভাই বিপ্লব সরকার(৩৮)। এ সময় তাকেও বন্দি করা হয় মেম্বর পূত্রের টর্চার সেলে। এখানে দুই ভাইকে আটকে রেখে উলঙ্গ করে কয়েক দফায় মারধর ও নির্যাতন চালানোর পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এদিকে একই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোল্লা কামরুল ইসলাম শনিবার দুপুর ১ টার দিকে বন্দি থাকা বিনদের স্ত্রী বিপাশা (৩০) ও তার বৃদ্ধ মা গিতা সরকার সহ প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছালে তাদের উপস্থিতে প্রকাশ্য রাস্তায় লাঠিপেটাসহ ফের নির্যাতন চালানো হয়। এ সময় বৃদ্ধ মা ও স্ত্রী নির্মম নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে স্বামী ও দেবরকে উদ্ধারে এগিয়ে গেলে বিনোদের স্ত্রী বিপাশা যৌন নির্যাতনের শিকার হন।
এদিকে মেম্বর পুত্র জাকির গংদের হামলায়
আহতদের মধ্যে আপন দুই ভাই বিনদ ও বিপ্লব সরকারের অবস্থা আশংকাজনক।
এঘটনায় বিকালে মোংলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এবিষয় মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম বলেন-পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পৌছে অহতদের খোঁজ খবর নিয়েছে। তিনি আরও বলেন-ইউপি মেম্বর সুলতান ও তার পূত্র জাকিরের নেতৃত্বাধীন একটি গ্রুপ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এমআই