সময় জার্নাল ডেস্ক :
আজ খ্রিস্টানদের পবিত্র ইস্টার সানডে। খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্টের পুনরুত্থান দিবসটি নানা আয়োজনে পালন করা হচ্ছে বাংলাদেশে। পাপের বিরুদ্ধে জয় হিসেবে যিশুর পুনরুত্থান খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব।
সকাল থেকেই পবিত্র বাইবেল পাঠ, ধর্মীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে যিশুর বিজয়বার্তা উদযাপন করছেন তার অনুসারীরা। বিশেষ প্রার্থনায় বিশ্বের মঙ্গল কামনা করা হয়। তাদের প্রত্যাশা, ক্ষয় হবে মহামারির বিষ। খ্রিস্ট ধর্মে বিশ্বাসীদের মতে, দুই হাজার বছর আগের পুণ্য শুক্রবারে যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল। এ ঘটনার তৃতীয় দিবসে মৃত্যুকে জয় করে জীবিত হয়ে ওঠেন তিনি। গুড ফ্রাইডে বা পূণ্য শুক্রবারে বিপথগামী রোমান শাসকগোষ্ঠী অন্যায়ভাবে ক্রুশবিদ্ধ করে যিশুখ্রিস্টকে হত্যা করেছিল। ঈশ্বরের কৃপায় মৃত্যুর তৃতীয় দিন রোববার তিনি মৃত্যু থেকে জেগে ওঠেন।
খ্রিস্টধর্ম মতে, দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দিবসটি উপলক্ষে ভোর থেকেই সব চার্চ এবং বিভিন্নস্থানে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ প্রার্থনা সভার। এদিন প্রার্থনা করা হয় বিশ্বশান্তি আর মঙ্গলের বার্তার। পৃথিবীর সব মানুষ যেন সুখে থাকে সেই কামনা করা হয়।
দুটি ভিন্ন গোষ্ঠীর মতে গুড ফ্রাইডের বছরটি হল ৩৩ খ্রিস্টাব্দ। আইজ্যাক নিউটন বাইবেলীয় ও জুলিয়ান ক্যালেন্ডার এবং অমাবস্যার তিথি বিচার করে গুড ফ্রাইডের যে প্রকৃত সালটি নিরুপণ করেছেন, সেটি হল ৩৪ খ্রিস্টাব্দ। ক্রুসিফিকেশন ডার্কনেস অ্যান্ড একলিপস পদ্ধতি নামে একটি তৃতীয় পদ্ধতিতে হিসেব করে গুড ফ্রাইডের তারিখ নিরুপণ করা হয়েছে ৩ এপ্রিল, ৩৩ খ্রিস্টাব্দ।
সময় জার্নাল/ইএইচ