স্পোর্টস ডেস্ক:: হারের মুখ থেকে জিতল গুজরাট টাইটান্স। সৌজন্যে ডেভিড মিলার। সহযোগী রশিদ খান। চোটের কারণে হার্দিক পান্ডিয়া খেলতে না পারায় গুজরাটকে নেতৃত্ব দিলেন রশিদ। শুধু নেতৃত্ব দেয়া নয়, শেষ দিকে মিলারের সাথে দুরন্ত ইনিংস খেললেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৫১ বলে ৯৪ রান করে অপরাজিত থাকলেন মিলার। এই দুই ব্যাটারের দাপটে এ বারের আইপিএলে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচ জিতে লিগ তালিকার শীর্ষে গুজরাট।
টস হেরে ব্যাট করতে নামে চেন্নাই। আগের ম্যাচে দুরন্ত ছন্দে ছিলেন রবিন উথাপ্পা। কিন্তু গুজরাটের বিরুদ্ধে মাত্র তিন রানে আউট হয়ে গেলেন তিনি। উথাপ্পাকে আউট করে চেন্নাইকে বড় ধাক্কা দেন মোহাম্মদ শামি। রান পাননি শিবম ডুবেও। কিন্তু চেন্নাইয়ের হয়ে সঠিক সময়ে জ্বলে উঠলেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। আইপিএলে এর আগে রান পাননি। কিন্তু গুজরাটের বিরুদ্ধে ভাল ছন্দে দেখা গেল তাকে।
গায়কোয়াড়ের সাথে জুটি বাঁধলেন অম্বাতি রায়ডু। দু’জনে মিলে দ্রুত রান তুলতে থাকেন। ৯২ রানের জুটি বাঁধেন তারা। গায়কোয়াড় অর্ধশতরান করলেও ৪৬ রানের মাথায় আউট হলেন রায়ডু। ৭৩ রান করে গায়কোয়াড় আউট হয়ে গেলে কিছুটা খেই হারায় চেন্নাই। শেষ ওভারে কয়েকটি বড় শট খেলেন রবীন্দ্র জাডেজা। ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানে শেষ হয় ধোনিদের ইনিংস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই শুভমন গিলকে হারায় গুজরাট। শূন্য রান করে আউট হন তিনি। পরের ওভারেই সাজঘরে ফেরেন বিজয় শঙ্কর। এই ম্যাচে সুযোগ পাওয়া ঋদ্ধিমান সাহার সাথে মিলে অভিনব মনোহর দলকে সামলানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। অভিনব ১২ ও ঋদ্ধি ১১ রান করে আউট হন। রান পাননি রাহুল তেওয়াটিয়াও।
দেখে মনে হচ্ছিল বড় হারের মুখে পড়তে চলেছে গুজরাট। কিন্তু সেখান থেকেই শুরু হল মিলারের ঝড়। কোনো বোলারকে পাত্তা দিলেন না। একের পর এক বড় শট খেললেন। দেখে মনে হচ্ছিল অন্য পিচে খেলছেন মিলার। অর্ধশতরান করেন তিনি। আর তাকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন আফগান ক্রিকেটার অধিনায়ক রশিদ খান। ক্রিস জর্ডানকে ১৮তম ওভারে তিনটি ছক্কা ও একটি চার মেরে খেলার ছবি বদলে দেন তিনি। তার পর আর থামানো যায়নি গুজরাটকে। ১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে ডোয়েন ব্র্যাভো দুই উইকেট নিলেও হার বাঁচাতে পারেননি। এক বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে যায় গুজরাট।
সময় জার্নাল/এলআর