আদালত প্রতিনিধি: সারাদেশে অনানুষ্ঠানিক উচ্চ সুদের অর্থঋণ নিষিদ্ধ করা এবং সমস্ত সুদখোর মহাজনদের চিহ্নিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশনা হাইকোর্টের।
ব্যক্তিগতভাবে দায়ের করা একটি আবেদন। এই আবেদনে বলা হয়েছে যে বর্তমানে এমন অনেক অনিবন্ধিত, অননুমোদিত বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্রঋণ আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সমবায় সমিতি রয়েছে যারা কোনো লাইসেন্স ছাড়াই খোলাখুলিভাবে সারা দেশে তাদের আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
কোনো নিবন্ধন ও লাইসেন্স ছাড়া কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে তার আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুমতি নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক বেসরকারী এবং সরকারী উভয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপর একটি নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ হিসাবে কাজ করে। কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য সরকার ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করেছে।
অনিবন্ধিত এবং অননুমোদিত বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্রঋণ আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সমবায় সমিতি, স্থানীয় অর্থঋণদাতা এবং অন্য কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত আর্থিক কার্যক্রমের তদন্ত এবং তারিখ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে এই আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ।
আরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে তদন্তের সময় যদি কোনো অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত বেসরকারি সমবায় সমিতি বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে কমিটি স্থানীয় প্রশাসন ও আইনের সহায়তায় উক্ত প্রতিষ্ঠানটিকে একযোগে বন্ধ করে দেবে। এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি এবং তারপরে আইন অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করে।
মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিকে এই আদেশের একটি অনুলিপি প্রাপ্তির তারিখ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে এই আদালতের সামনে অননুমোদিত স্থানীয় অর্থ ঋণদাতাদের তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
সময় জার্নাল/এলআর