সময় জার্নাল প্রতিবেদক, ঢাকা: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় আগামী ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের লকডাউনে যাচ্ছে পুরো দেশ। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন শনিবার দুপুরে নিজ বাসা থেকে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা জানান।
লকডাউনে কী কী বন্ধ থাকবে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের জরুরি সেবা দেওয়া এমনসব প্রতিষ্ঠান যেমন- ডিসি অফিস, ইউএনও অফিস, ফায়ার সার্ভিস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অফিস, সংবাদপত্র- এগুলো খোলা থাকবে।
তিনি বলেন, আমরা মানুষের চলাফেরা একেবারে সীমিত করে দিতে চাচ্ছি। যাতে মানুষ ঘর থেকে বের না হয়।
লকডাউনের মধ্যে শিল্প-কলকারখানা চালু থাকবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেখানে একাধিক শিফট করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রমিকরা কাজ করবেন। কলকারখানা বন্ধ করে দিলে অধিক সংক্রমিত জেলা থেকে মানুষ বাড়িতে যাবে। এতে ওই সব জেলাতেও সংক্রমিত হওয়ার সংখ্যা বাড়বে।
তিনি বলেন, লকডাউনে সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। আদালত ও সব ধরনের মার্কেট বন্ধ থাকবে।
লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে কিনা- প্রশ্নে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এগুলো নিয়ে কাজ করছি। যখন এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবো সেখানে তা স্পষ্ট উল্লেখ থাকবে। আজ সন্ধ্যার মধ্যে প্রজ্ঞাপন হবে।
কবে থেকে লকডাউন শুরু হবে- সে প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রজ্ঞাপনে সে বিষয়টি উল্লেখ থাকবে। আমরা আগে থেকে জানাচ্ছি যাতে মানুষ অন্য কোনো স্থানে গিয়ে আটকে না পড়েন। প্রস্তুতিটা নিতে পারেন।
এরআগে ভিডিও বার্তায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানান, দ্রুত বেড়ে যাওয়া করোনা সংক্রমণ রোধ করতে সরকার ২/৩ দিনের মধ্যে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের চিন্তা করছে।
গত কয়েক দিন থেকে করোনা সংক্রমণ ক্রমাগত বাড়তে থাকায় সরকার লকাউনের দিকে যাচ্ছে। করোনা সংক্রমণের কারণে গতবছরের ১৮ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
গতবছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ দেখা যাওয়ায় ২৬ মার্চ থেকে শুরু করে ৬৬ দিনের লকডাউন ছিল সারা দেশে। এই সময়ে জরুরি ছাড়া সব যানবাহন বন্ধ ছিল।
সময় জার্নাল/আরইউ