নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত তিনজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা হলেন- ব্যবস্থাপনা বিভাগের নাসিম, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের লিটন ও পদার্থবিদ্যা বিভাগের আবদুল্লাহ আল মাসউদ। চিহ্নিত তিনজনই ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগকর্মী বলে জানা গেছে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার সময় নাসিমের গায়ে নিজের নাম লেখা জার্সি। মাসউদের সবুজ রঙয়ের টিশার্ট পরা। আর মেরুন রঙয়ের শার্ট পরা যুবকের নাম লিটন। তিনজনই ঢাকা কলেজের ফরহাদ হলের ছাত্র।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় ওই মার্কেটের দুটি ফাস্টফুডের দোকানের দুই কর্মচারীর ঝগড়া থেকে। ভিডিও ফুটেজে বাপ্পী নামে একজনকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি নিউমার্কেটের ওয়েলকাম ফাস্টফুড দোকানের কর্মচারী।
সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মার্কেটের চার নম্বর গেটের ওয়েলকাম ফাস্টফুডের কর্মচারী বাপ্পী ও ক্যাপিটালের কর্মচারী কাওসারের মধ্যে সন্ধ্যায় কথা কাটাকাটি থেকেই সংঘর্ষের শুরু হয়। দুটি দোকানের মালিক আপন চাচাতো ভাই। ইফতারের সময় নিউমার্কেটের ভেতরে হাঁটার রাস্তায় টেবিল পেতে বসে ইফতারের ব্যবস্থা করে ফাস্টফুডের দোকানগুলো। মূলত এ বিরোধের সূত্রপাত ওয়েলকাম ফাস্টফুডের দুই কর্মচারীর মধ্যে। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে কাওসারকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে বাপ্পী ওই জায়গা থেকে চলে যায়।
আরেকটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, রাত সাড়ে ১১টায় বাপ্পী ঢাকা কলেজ থেকে তার পরিচিতদের নিয়ে আসেন। এ সময় নাসিম, লিটন ও আবদুল্লাহ আল মাসউদের নেতৃত্বে ঢাকা কলেজের কিছু শিক্ষার্থী ক্যাপিটাল ফাস্টফুডের কর্মীদের মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে ক্যাপিটাল ফাস্টফুডের কর্মীরা নিজেদের দোকানের ছুরি, চাকু নিয়ে পাল্টা হামলা চালায়। পরে আহত হয়ে পালিয়ে যায় ঢাকা কলেজ থেকে আসা দলটি। তবে তারা কলেজে গিয়ে বলে- ব্যবসায়ীরা তাদের ওপর হামলা করেছে। এ কারণে কলেজ থেকে আরও ছাত্রদের নিয়ে এসে নিউমার্কেটে ফের হামলা চালায় শিক্ষার্থীরা।
ক্যাপিটাল ফাস্টফুডের কর্মী কাওসার ও ওয়েলকাম ফাস্টফুডের কর্মী বাপ্পীর বাসা রাজধানীর রায়েরবাজার এলাকায়। তবে ঘটনার পর থেকে তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। দুজনের মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। জানা গেছে, ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি না থাকলেও চিহ্নিত তিনজন ক্যাম্পাস ও হলে ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবেই পরিচিত।
সময় জার্নাল/এলআর