নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে শনিবার (২৩ এপ্রিল)। তবু আনুষ্ঠানিক টিকিট বিক্রি শুরুর আগের দিনেই কমলাপুর রেল স্টেশনে টিকিটপ্রত্যাশীরা ভিড় করেছেন। কাউন্টারের সামনে যেন যাত্রীদের তিল ধারণের ঠাঁই নেই। প্রতিটি কাউন্টারের সামনে থেকে টিকিটপ্রত্যাশীদের সারি এঁকে-বেঁকে চলে গেছে স্টেশনের বাইরে পর্যন্ত।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) কাউন্টার থেকে বিক্রি হচ্ছে আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ট্রেনের টিকিট। আর এ টিকিট পেতেই সকাল থেকে কমলাপুরের লাইনে দাঁড়িয়েছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। এ ভিড় সকাল থেকে প্রচন্ড আকার ধারণ করলেও দুপুরের দিকে কিছুটা কমতে শুরু করে।
গত ১৩ এপ্রিল রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন সংবাদ সম্মেলন করে জানান, ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ‘৩ মে’ ধরে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। ২৭ এপ্রিলের টিকিট দেওয়া হবে ২৩ এপ্রিল। এভাবে ২৮ এপ্রিলের টিকিট ২৪ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিলের টিকিট ২৫ এপ্রিল, ৩০ এপ্রিলের টিকিট ২৬ এপ্রিল এবং ১ মের টিকিট ২৭ এপ্রিল বিক্রি করা হবে।
সে অনুযায়ী শনিবার (২৩ এপ্রিল) ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আজ থেকেই কমলাপুরে টিকিটপ্রত্যাশীদের অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে ২৬ তারিখের রাজশাহীগামী বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, জানি ২৭ তারিখের অগ্রিম টিকিটের জন্য কাল (শনিবার) কমলাপুরে প্রচন্ড ভিড় হবে। তাই ভেবেছিলাম একদিন আগের টিকিট কেটে চলে যাব, সেক্ষেত্রে ভিড় তেমন একটা হবে না। কিন্তু সকালে কমলাপুরে এসে দেখি প্রচন্ড ভিড়। দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। লাইনে এত দূর দাঁড়িয়েছি আমার সিরিয়াল আসতে আসতে মনে হচ্ছে না আর টিকিট পাব।
জানতে চাইলে কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, আজ কাউন্টারগুলোতে টিকিটপ্রত্যাশীর সংখ্যা অনেক বেশি। আজ ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরুর আগের দিন। অনেকে ভোগান্তি এড়াতে একদিন আগের টিকিট কাটতে এসেছে। ফলে ভিড় দেখা দিয়েছে। শনিবার থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রির সব প্রস্তুতি আমরা শেষ করেছি। আশা করছি সুষ্ঠু, সুন্দর পরিবেশে ও সুশৃঙ্খলভাবে টিকিট বিক্রি শুরু করতে পারব। অনলাইনের পাশাপাশি কাউন্টারে ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হবে।
জানা গেছে, অনলাইনে ই-টিকিটিংয়ের মাধ্যমে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি সকাল ৮টায় শুরু হবে। এছাড়া কাউন্টারে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এক টানা অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলবে। প্রতিটি টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রে একটি করে নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কাউন্টার থাকবে। একজন যাত্রী এক সঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন। বিক্রি করা ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট ফেরত নেওয়া হবে না। স্পেশাল ট্রেনের কোনো টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে না। শুধুমাত্র স্টেশন কাউন্টারে বিক্রি করা হবে।
এমআই