নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নিউ মার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেনকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) নিউ মার্কেট থানার পরিদর্শক হালদার অর্পিত ঠাকুর তাকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মহানগর হাকিম মো. মামুনুর রশিদ তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে ধানমন্ডির বাসা থেকে মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তখন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার জানান, পুলিশের কাজে বাধা প্রদান, পুলিশের ওপর আক্রমণ, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে জখম করার অপরাধে নিউ মার্কেট থানার মামলায় এক নম্বর আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি।
গত সপ্তাহে সোমবার মধ্যরাতে ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। মঙ্গলবার দিনভর দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। বুধবার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসে। সংঘর্ষের ঘটনায় মারা যান দুজন, আহত হন দুই শতাধিক।
এ ঘটনায় বুধবার (২০ এপ্রিল) রাতে পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করে নিউ মার্কেট থানায়। এর মধ্যে একটি পুলিশের ওপর হামলার দায়ে, আরেকটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে।
পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় এক হাজার জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। অন্যদিকে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২০০ জনকে।
পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় যাদের নাম দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন, আমির হোসেন আলমগীর, মিজান, টিপু, হাজি জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, হাসান জাহাঙ্গীর মিঠু, হারুন হাওলাদার, শাহ আলম শন্টু, শহিদুল ইসলাম শহিদ, জাপানি ফারুক, মিজান বেপারী, আসিফ, রহমত, সুমন, জসিম, বিল্লাল, হারুন, তোহা, মনির, বাচ্চু, জুলহাস, মিঠু, মিন্টু ও বাবুল।
এমআই