সময় জার্নাল ডেস্ক: ঢাকা-সিরাজগঞ্জ সড়কে অন্তত ২৪ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে আগের দিনের তুলনায় একটি ফেরি বেড়েছে। তবে দুর্ভোগ বেড়েছে ঘরমুখো মানুষের।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) ভোর থেকে সড়কে যানবাহনের চাপ থাকায় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোল চত্বর থেকে হাটিকুমরুল পর্যন্ত সড়কে থেমে থেমে গাড়ি চলছে। মনির হোসেন নামের এক বাস যাত্রী জানান, টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা অতিক্রম করার পর থেকে হাটিকুমরুল গোল চত্বর পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে আটকা পড়ে আছি।
আজও শুক্রবার ভোর থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে আগের দিনের তুলনায় একটি ফেরি বেড়েছে। ১০টি ফেরি যোগে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তারপরও যাত্রী ও যানবাহনের তুলনায় ফেরির রয়েছে সংকট। সময়মতো ফেরি না ছাড়ায় আজও ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে ও স্পিডবোট যাতায়াত করছেন যাত্রীরা।
ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে যশোর যাবেন আতাহার মোল্লা। তিনি বলেন, ‘ভোরের একটু আগেভাগে রওনা হয়েছি। দুই ঘণ্টা হয়ে গেছে, ফেরি পাইনি। কখন পার হতে পারব, জানি না।’
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল জানান, বর্তমানে মোট ১০টি ফেরি পারাপারে কাজ করছে। বাংলাবাজার নৌরুটে সাতটি ও মাঝিরকান্দা নৌরুটে তিনটি ফেরি চলাচল করছে। গতকাল ছিল নয়টি ফেরি। বাংলাবাজার নৌরুটে একটি ফেরি বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে, কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীর চাপ বাড়লেও ঈদযাত্রায় যেমনটি হওয়ার কথা সেরকম দেখছেন না স্টেশন কর্মকর্তারা। তবে পোশাক কারখানাগুলো ছুটি হলে ট্রেনে যাত্রীর চাপ অনেক বাড়বে।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) দেখা যায়, ভোর থেকেই রেলস্টেশনে আসতে শুরু করেন যাত্রীরা। আর গেটে টিকিট চেক করে স্টেশনের ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন নিরাপত্তাপ্রহরীরা। এসময় ঢাকা-খুলনাগামী ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’র দেরি হওয়া ছাড়া বড় ধরনের কোনো সমস্যা দেখা যায়নি। স্টেশনের নিরাপত্তাকর্মী শাহিন বলেন, এবার তো তেমন চাপ নেই মানুষের। তবে আজকে রাত থেকে বাড়তে পারে। পোশাককর্মী অনেক বেশি। এই কারখানাগুলো ছুটি দিলে ভিড় অনেক বাড়বে।
সময় জার্নাল/এলআর