নিজস্ব প্রতিনিধি: সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রথম জানাজা রাজধানীর গুলশানে আজাদ মসজিদে সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে বহু মানুষের অংশগ্রহণে এ জানাজা হয়। তবে সংসদ প্লাজায় তার দ্বিতীয় জানাজা অনিবার্য কারণে বাতিল করা হয়েছে।
জানাজা নামাজ শেষ মসজিদের দক্ষিণ ফটকে আবুল মাল আবদুল মুহিতের মরদেহ দেখতে তার বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষীরা ভিড় করেন। বেলা সোয়া ১১টায় সবার দেখা শেষে মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নিয়ে যান তার পরিবারের সদস্যরা।
জানাজা নামাজে আবুল মাল আবদুল মুহিতের ছোট ভাই ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালসহ সরকারের বিভিন্ন এমপি, আমলা ও তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা অংশ নেন।
জানাজার আগে গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদে সাংবাদিকদের সঙ্গে স্মৃতিচারণ করেন এ কে আবদুল মোমেন। এসময় তিনি বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে একজন ‘ট্যালেন্ট অভিভাবককে’ হারিয়েছি। মুহিত ভাইয়ের মতো ট্যালেন্টেড লোক আমাদের পরিবারের আর নেই। তিনি খবই মহৎ ছিলেন। আমরা একজন অভিভাবককে হারালাম।
তিনি বলেন, মুহিত ভাই আমার ভাই হিসেবে, বন্ধু হিসেবে আমাদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক ছিল। তার মৃত্যু খুবই দুঃখজনক। মুহিতকে সিলেটের রায় নগরে সাহেব বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। ওখানে আমার বাবা-মা, দাদা-দাদিসহ সবার কবর রয়েছে।
সংসদ ভবনের সামনে জানাজার আয়োজন না করার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, দুই বছর ধরে করোনার কারণে সংসদ ভবনের সামনে কারও জানাজা আয়োজন করা যায়নি। গতকাল আমরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু এ ধরনের কোনো আয়োজন দেখে নিন। এখন গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে মুহিত ভাইয়ের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা শেষে সিলেটে নিয়ে দাফন করা হবে।
বার্ধক্যজনিত কারণে বহুমাত্রিক এই মানুষটি কয়েকমাস ধরে অসুস্থ ছিলেন। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) দিনগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
সময় জার্নাল/এলআর