আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার হুমকি অগ্রাহ্য করে ন্যাটোর সদস্যপদ চেয়েছিল ইউক্রেন। তারপরই পুতিনের রোষে ছারখার হয়ে গেছে দেশটি। এবার মস্কোর হুঁশিয়ারি উড়িয়ে ন্যাটো জোটে শামিল হওয়ার দাবি জানিয়েছে ফিনল্যান্ড।
এরপরই দেশটির আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছে রুশ অ্যাটাক হেলিকপ্টার। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, এবার ফিনল্যান্ডে আক্রমণ চালাতে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আর তেমনটা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাবে বিশ্ব।
জানা গেছে, বুধবার ফিনল্যান্ডের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে রুশ ফৌজের একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার। তারপরই ফিনল্যান্ড সেনার তৎপরতা ঘিরে আরো জোরাল হয়েছে যুদ্ধের জল্পনা।
বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ফিনল্যান্ডকে ন্যাটোতে কিছুতেই শামিল হতে দেবে না রাশিয়া। প্রয়োজনে ইউক্রেনের মতোই সেই দেশে হামলা চালাতে পারে মস্কো।
এদিকে, বুধবার থেকেই রুশ সীমান্ত ঘেঁষা এলাকায় আমেরিকার সেনার সাথে যৌথ মহড়া শুরু করেছে ফিনল্যান্ড ফৌজ। এর ফলে উত্তেজনা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্বে ১৯৩৯ সালের নভেম্বরে জার্মানির সাথে হাত মিলিয়ে ফিনল্যান্ডে হামলা চালিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। কিন্তু সামরিক ক্ষমতায় অনেক এগিয়ে থেকেও প্রায় সাড়ে তিন মাসের যুদ্ধে স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলের ছোট্ট দেশটিকে পুরোপুরি দখল করতে পারেনি জোসেফ স্তালিনের সেনা। মস্কো চুক্তিতে কোনোমতে মুখ বাঁচিয়ে সেই যাত্রায় হামলায় ইতি টেনেছিল রেড আর্মি।
এদিকে, সমগ্র ইউক্রেন দখলে ব্যর্থ হলেও অধিকৃত এলাকায় সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছে মস্কো। অধিকৃত অঞ্চলগুলো রাশিয়ার অধীনে আনার প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, কেনাবেচা করতে রুশ মুদ্রা রুবল ব্যবহার করতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, রাশিয়ার অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে তড়িঘড়ি গণভোট করানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গণভোটের মাধ্যমেই এই অঞ্চলগুলো রাশিয়া ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে ক্রেমলিনের।
সময় জার্নাল/এলআর