আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিশরে সশস্ত্র হামলায় দেশটির সামরিক বাহিনীর ১১ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন সেনা কর্মকর্তাও রয়েছেন। উত্তর আফ্রিকার এই দেশটির সিনাই উপদ্বীপে চালানো সশস্ত্র হামলায় প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
মিশরের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের বরাত দিয়ে শনিবার (৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। সেনাবাহিনীর ওই মুখপাত্র আরও বলেছেন, সুয়েজ খালের পূর্বে একটি ওয়াটার-লিফটিং স্টেশনে নিরাপত্তা বাহিনী একটি ‘সন্ত্রাসী হামলা ব্যর্থ করে দিয়েছে’।
শনিবার এক বিবৃতিতে মিশরের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জানান, সিনাই উপদ্বীপে চালানো সশস্ত্র এই হামলায় আরও ৫ সেনাসদস্য আহত হয়েছেন। তার ভাষায়, ‘সন্ত্রাসী উপাদানগুলোকে সিনাইয়ের একটি বিচ্ছিন্ন এলাকায় ধাওয়া ও অবরোধ করা হচ্ছে।’
এদিকে সশস্ত্র হামলায় সেনাসদস্যদের মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার এবং ‘সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করার’ প্রতিশ্রুতি দেন।
মিশরের সামরিক বাহিনী অবশ্য এই হামলার বিস্তারিত তথ্য বা হামলার সুনির্দিষ্ট স্থানের কথা প্রকাশ করেনি। তবে উত্তর সিনাইয়ের দুই বাসিন্দা বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, ইসমাইলিয়া প্রদেশের কানতারা শহরে সশস্ত্র এই হামলার ঘটে।
এদিকে শনিবারের এই অতর্কিত হামলার দায় কোনো গোষ্ঠীই এখনও স্বীকার করেনি। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মিশরীয় নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে এটি সবচেয়ে মারাত্মক হামলাগুলোর একটি।
গত সপ্তাহে সন্দেহভাজন যোদ্ধারা উত্তর সিনাইয়ের বির আল-আব্দ শহরে প্রাকৃতিক গ্যাসের একটি পাইপলাইনে বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে সেখানে আগুন লেগে যায়, কিন্তু কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
আলজাজিরা বলছে, সিনাই উপদ্বীপে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসআইএল (আইএসআইএস) এর অনুগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সাথে লড়াই করছে মিশর। ২০১২ সালে মিশরের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও মুসলিম ব্রাদারহুড নেতা মোহাম্মদ মুরসিকে সামরিক বাহিনী ক্ষমতাচ্যুত করার পর ওই অঞ্চলে বিদ্রোহীদের লড়াই অনেকটাই তীব্র হয়েছে।
এমআই