লাইফস্টাইল ডেস্ক:
হতাশা, রাগ, একাকিত্ব, ভয় এ সব অনুভূতিগুলো আচ্ছন্ন করে ফেলে আমাদের মনকে। মনের এই নেতিবাচক অনুভূতি শারীরিকভাবেও প্রভাব ফেলে।
যার ফলে সবসময় অস্থিরতা, গলা শুকিয়ে যাওয়া, শরীর ঘেমে ওঠা, যেকোনো কাজে অনীহার মত লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে থাকে। মানসিক চাপযুক্ত কিছু পরিস্থিতিতে ভয় সম্পূর্ণভাবে মনকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। আমাদের প্রধান কিছু অভ্যাস পরিহার করলে মানসিক চাপ থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যাবে।
অস্বাস্থ্যকর খাবার
আপনি কেমন খাবার খাচ্ছেন তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করে আপনার স্বাস্থ্য কেমন থাকবে। যখন স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন তখন শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকবে। কারণ তখন আপনার শরীর যথেষ্ট পুষ্টি পাবে। কিন্তু আপনি যদি অস্বাস্থ্যকর খাবার খেতে থাকেন তাহলে তার প্রভাব পড়বে মানসিক স্বাস্থ্যেও। আপনি নানা ধরনের মানসিক সমস্যা অনুভব করবেন। এটি বাড়তে দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া গতি থাকবে না।
শারীরিক ক্রিয়াকলাপের অভাব
আপনি যদি চাকরিজীবী হন, দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে কম্পিউটারের সামনে বসে থেকে। এছাড়াও অনেকে ইন্টারনেটে ঘাঁটাঘাঁটি করতে বেশি পছন্দ করেন। যে কারণে কমতে থাকে শারীরিক ক্রিয়াকলাপ।
যদি আলাদাভাবে ব্যায়াম নাও করে থাকেন তবে অন্তত একটু হাঁটাহাঁটি বা সাইকেল চালানোর মতো অভ্যাসগুলো করুন। ঘরের কাজ করলেও তা ব্যায়ামের মতো সুবিধা দিতে পারে। বাড়ি ঝাড়ু দেওয়া, ঘর মোছা এসব হতে পারে ভালো ব্যায়াম। এতে আপনার শরীরে হ্যাপি হরমোন নিঃসরণ হবে। ফলে ভালো থাকবে মন।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে
ঘুমকে অনেকে মনে করেন সময় নষ্ট করা। আসলে তা নয়। দিনের বেলা নির্বিঘ্নে কাজ করার জন্য রাতে পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। ঘুমের চক্র নষ্ট হলে তার প্রভাব পড়তে শুরু করে শরীর মনে। অনেকের বদ অভ্যাস হলো ঘুমের সময় স্মার্টফোনের স্ক্রিনে সময় কাটানো। এটি আপনার ঘুমকে ব্যহত করে। তাই এ অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিন। কারণ ঘুম না হলে আপনার মানসিক অবস্থার ওপর তার প্রভাব পড়বেই।
জীবনযাপনের ক্ষেত্রে এ তিন প্রধান বিষয়ে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ এই তিন কাজ ঠিকভাবে করলে আপনার সুস্থ থাকার পথ অনেকটাই সুগম হবে। আপনার শরীরের পাশাপাশি উন্নতি হবে মানসিক স্বাস্থ্যেরও।
এমআই