মো: আবদুল্লাহ চৌধুরী, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে জুতা মিছিল ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগের পদ বঞ্চিত একাংশের নেতাকর্মিরা।
শুক্রবার (১৩ মে) বিকেল ৫টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর প্রধান সড়কে নোয়াখালী সদর উপজেলা, পৌরসভা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ও নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ এবং সোনাপুর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটিতে প্রকৃত ত্যাগীদের স্থান না দেওয়ার প্রতিবাদে এ কমসূচি পালন করা হয়।
জুতা মিছিল ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি শেষে জেলা আ. লীগ কার্যালয়ের সামনের সড়কে এক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তৃতা করে ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশী ছাত্রলীগ নেতা ফজলে রাব্বি রাহাত, হোসেন আল রুহিন, মো.জনিসহ ছাত্রলীগের মাঠ পর্যায়ের কর্মিরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা, গতকাল বৃহস্পতিবার ১২ মে ঘোষিত নোয়াখালী সদর উপজেলা ছাত্রলীগ, পৌর ছাত্রলীগ, নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ ও সোনাপুর কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে পুনরায় নতুন কমিটি দেওয়ার দাবি জানান।
উল্লেখ্য,গতকাল বৃহস্পতিবার ১২ মে নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আরমান ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত আদনান এর স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে আগামী ১ বছরের জন্য নোয়াখালী সদর উপজেলা ছাত্রলীগ ও নোয়াখালী পৌরসভা ছাত্রলীগের ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি এবং আগামী ৩ মাসের জন্য সোনাপুর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগ ও নোয়াখালী কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান নোয়াখালী ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আরমান ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত আদনান নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
ওই কমিটিতে নোয়াখালী সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয় মোহাম্মদ রিশাদ এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছে তোফাজ্জল হোসেন রনি। নোয়াখালী পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয় আরাফাত আহমেদ অন্তর এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয় আমিন উল্যাহ ফাহাদকে। আর নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক করা হয় রাহুল দে এবং যুগ্ম আহবায়ক করা হয় আলী আজগরকে। জানা যায় তাৎক্ষণিক আলী আজগর নিজেই ওই কমিটি প্রত্যাখান করে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আরমান ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত আদনানের মুঠোফোনে কল করা হলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তাদের বক্তব্য যায় নি।
এমআই