আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির পার্লামেন্টের প্রধান বিরোধী দল সামাগি জানা বালাওয়েগায়া। দলের একাধিক আইনপ্রণেতা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পাশাপাশি, সামাজি জানা বালাওয়েগায়ার কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড নতুন প্রধানমন্ত্রীর নেত্বাধীন অন্তর্বর্তী জোট সরকারে যোগ দেওয়ার পরিবর্তে দেশে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও নিশ্চিত করেছেন দলটির এক জেষ্ঠ্য নেতা।
সামাগি জানা বালাওয়েগায়ার এমপি ও জ্যেষ্ঠ নেতা ইরান বিক্রমারত্নে রয়টার্সকে বলেন, ‘এটা ইতোমধ্যে পরিষ্কার—নতুন প্রধানমন্ত্রী আসলে প্রেসিডেন্টের আজ্ঞাবহ। অর্থাৎ রিমোট কন্ট্রোল এখনও আছে প্রেসিডেন্টের হাতেই।’
‘এই দেশ চায় রাজাপাকসেরা বাড়ি ফিরে যাক এবং আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
গত প্রায় দু’মাস ধরে শ্রীলঙ্কায় সরকারপতন আন্দোলন চলছে। রাজনৈতিক দলগুলোর পাশপাশি এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন লাখ লাখ সাধারণ জনগণ। আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত মাস থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন একদল বিক্ষোভকারী।
তাদেরই একজন চামালাগে শিবকুমার। তিনি বলেন, ‘আমরা কেবল তখনই আন্দোলন থামাব, যখন আমাদের জনগণ ন্যায়বিচার পাবে।’
শিবকুমার আরও জানান, চলমান এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগ।
‘কে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, সেটি বড় ব্যাপার নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো জনগণের মুক্তি; সেই মুক্তি যতদিন না আসে, ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে,’ রয়টার্সকে বলেন শিবকুমার।
গত ৯ মে, সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে প্রভাবশালী রাজাপাকসে পরিবারের সর্বজেষ্ঠ্য সদস্য মাহিন্দা রাজাপাকসে। এই দিন নিজের ছোটভাই ও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের কাছে পদত্যাগপত্র দেন তিনি।
কিন্তু তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার আগে সকালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন টেম্পল ট্রিজের কাছে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয় সরকার সমর্থকরা। তাদের হামলায় অন্তত ২০ জন বিক্ষোভকারী আহত হন।
এমআই