এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের দয়ারামপুর গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ৩৭ টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। যার প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ২ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকা বলে জানা যায়।
সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আশ্রয়ন প্রকল্প স্থলে বেশ কিছু ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। যার মধ্যে কিছু কিছু ঘরের উপরে কাঠ এবং টিন লাগাচ্ছে। আবার কিছু কিছু অংশে খোড়া হচ্ছে ঘর নির্মাণের জন্য। কিন্তু ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ইট, খোয়া ও ঘরের চালের কাঠ (বাটাম)।
এলাকাবাসীরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণের কাজ নিন্মমানের হচ্ছে। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
কর্মরত শ্রমিকরা জানান, এখানকার কাজে ভালো মাল ও আছে এবং নিম্নমানের মাল ও আছে। আমাদের কিছু করার নেই , আমরা শ্রমিক। আমাদের যেই মাল এনে দেয়া হবে আমরা তাই দিয়ে কাজ করবো। আমাদের দায়িত্ব কাজ করা। মাল ভালো মন্দের বিষয়ে বলতে পারবেন ঠিকাদার আইয়ুব আলী। তিনি এখানেই উপস্থিত আছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদার আইয়ুব আলী নিম্নমানের মাল ব্যবহারের প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করলে জানান, আমি ঠিকাদার না। আমি দেখাশুনা করি, আমাকে দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছেন মধুখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আশিকুর রহমান চৌধুরী।
আইয়ুব আলী আরো জানান, আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণের কোন মালামাল আমি ক্রয় করি না। নির্বাহী কর্মকর্তা নিজেই ক্রয় করেন। এর সাথে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জড়িত। তিনি এই ঘর নির্মাণ কমিটির সদস্য সচিব। এই মালামাল ক্রয় করার দায়িত্ব তাদের।
এই ব্যাপারে কামারখালী ইউনিয়নের মতামত জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করেননি ।
এই বিষয়ে মধুখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোরহাব হোসেন জানান, আমি শুধু নামে আশ্রয়নের ঘর নির্মাণ প্রকল্পের সদস্য সচিব। সকল কাজ কর্ম উপজেলা নির্বাহী স্যার নিজেই করেন। কত টাকায় একটি ঘর নির্মাণ হচ্ছে আমি তা জানি না ।
মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিকুর রহমান চৌধুরী জানান , আশ্রয় প্রকল্পের ঘর নির্মাণ নিম্নমানের মালামাল দিয়ে বানানোর কথা নয় । বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো ।
সময় জার্নাল/ইএইচ