সময় জার্নাল ডেস্ক :
ভারতে গ্রেপ্তার প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো তথ্য (ডকুমেন্ট) আসেনি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা জেনেছি পি কে হাওলাদার গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে আমাদের কাছে এখনো তার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু আসেনি। আমাদের যে কাজ আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
পি কে হাওলাদার বাংলাদেশে ওয়ান্টেড ব্যক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে অনেকদিন ধরেই চাচ্ছি। সে গ্রেপ্তার হয়েছে।
এর আগে শনিবার সকালে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পি কে হালদারসহ ছয়জনকে পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার অন্য পাঁচজন হলেন, উত্তম মিত্র, স্বপন মিত্র, সঞ্জীব হালদার, প্রাণেশ হালদার (প্রীতিশ) ও তার স্ত্রী।
এদিকে পি কে হালদারের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ভারতের ব্যাঙ্কশাল স্পেশাল সিবিআই কোর্ট। শনিবার গভীর রাতে পি কে হালদারসহ ছয়জনকে ব্যাঙ্কশাল সিবিআই কোর্টে হাজির করা হয়। এরপর তাদের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
উল্লেখ্য, পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে। বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনকালে এই অর্থপাচার করেছিলেন তিনি। তাকে গ্রেপ্তার করতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)। তার বিরুদ্ধে দুদকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান একাধিক মামলা করেছে।
২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সড়কপথে দেশত্যাগ করেন পিকে হালদার। এর আগের দিন পি কে হালদারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ডাকযোগে ইমিগ্রেশন পুলিশ বরাবরে চিঠি পাঠায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই চিঠি ২৩ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টায় ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে পৌঁছায়।
নানা কৌশল করে এসব প্রতিষ্ঠান দখল করেছেন মূলত একজন ব্যক্তি। প্রতিষ্ঠান দখল করার জন্য নামে-বেনামে অসংখ্য কোম্পানি খুলেছেন, শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন, দখল করা আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
সময় জার্নাল/ইএইচ