মোঃ তারিকুল ইসলাম আরিফ, ববি প্রতিনিধি:
দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ আন্দোলনের ও প্রতিরক্ষার ফসল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। প্রাকৃতির মনোরম দৃশ্যও অবস্থানের দিক থেকে বরিশালের ঐতিহ্যবাহী কীর্তনখোলা নদীর তীরে হওয়ায় মানুষের আবেগের যায়গায় পরিণত হয়েছে দক্ষিণের এই সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ। শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট সমাধানকল্পে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ আবাসিক হল হিসেবে যুক্ত হয়েছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আবাসিক হল তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ১৩ কোটি ৭৩ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা।যেটি চালু হলে প্রায় ৫ শত শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা একযোগে দূর হবে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
হলটি অনেক আগে চালু হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে আটকে যায় এর নির্মান কার্যক্রম। পরবর্তীতে হলটির সংযোগ সড়ক নকশায় না থাকায় কয়েক দফায় বিলম্বিত হয় এর উদ্বোধন কার্যক্রম। এছাড়া এক বছর আগে প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হলেও নানা কারণে হলটি চালু করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে সব বাঁধা অতিক্রম করে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল।
এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, আমরা আবাসিক হলটি (বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল) দ্রুত চালুর বিষয়ে কাজ করছি। প্রতিনিয়ত আমরা ভাবছি কিভাবে শিক্ষার্থীদের ভালো রাখা যায়, নিরাপদে রাখা যায় এবং সেই লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আজ সেই উদ্দেশ্যই মাননীয় ভিসি স্যারের সাথে আমরা হলটি পরিদর্শন করেছি। তিনিও হলটি দ্রুত চালুর বিষয়ে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছেন।
হলটি ঠিক কবে নাগাদ চালু হতে পারে সেই বিষয়ে বঙ্গমাতা হলের প্রাধ্যক্ষ তাসনুভা হাবিব জিসান জানান, হলের কিছু ইনফ্রাসট্রাকচার (অবকাঠামোগত) কাজ বাকি আছে। তাছাড়া ডাইনিংয়ের ব্যবস্থাপনার বিষয়টি এখনো ঠিক করা হয়নি।
তবে আসবাবপত্র ও অন্যান্য অনুষঙ্গিক বিষয়গুলো এসে গেছে। আশাকরি আগামী জুনের শেষে বা জুলাইয়ের দিকে হলটি চালু করতে সক্ষম হবো।
সময় জার্নাল/এলআর