নিজস্ব প্রতিনিধি: পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে নানা জল্পনার মধ্যে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর জানানো হয়েছে, কয়েক দিনের মধ্যেই উদ্বোধনের তারিখ ঠিক করে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘পদ্মা সেতুর বিষয়ে আজকে যে আলোচনা হয়েছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই পরিষ্কার করবেন আগামী পাঁচ-ছয় দিনের মধ্যে। পদ্মা সেতু জুন মাসের শেষে উদ্বোধন হচ্ছে, এটা তিনি বলেই দিয়েছেন। আমরাও রেডি আছি।’
‘আশা করি শেষ সপ্তাহের আগেই ব্রিজ রেডি হয়ে যাবে,’ বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
পদ্মা সেতুর নাম কী হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পদ্মা সেতুই হবে। প্রধানমন্ত্রী হয়তো আগামী ৩/৪ দিনের মধ্যে যেকোনো সময় ক্লিয়ার করবেন।’
দক্ষিণ জনপদের সাথে রাজধানীর সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের এই সেতুর নাম ‘শেখ হাসিনা সেতু’ করার দাবি ইতোমধ্যে তুলেছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
দেশের নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার কোটি টাকায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর কাজ ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পদ্মা সেতুর নির্ধারিত টোল বেশি হওয়া নিয়ে যে সমালোচনা হচ্ছে, সে বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘টোলটা হলো, যখনই যেখানে ব্রিজ করি এর স্ট্যান্ডার্ড হলো ফেরির দেড় গুণ। সেটা ধরেই করা হয়েছে।’
‘বঙ্গবন্ধু ব্রিজ হলো প্রায় ৫ কিলোমিটার আর এটা হলো ৯.৮৬ (সংযোগ সড়কসহ) অর্থাৎ প্রায় দ্বিগুণ। তাছাড়া ফেরির যে চরিত্র, সেটা কিন্তু এক ছিল না। বঙ্গবন্ধু ব্রিজ যখন ফেরিতে ধরা হয়েছে, ১৯৯৫-৯৬ এর টোল ধরে করা হয়েছে। তারপরে দুই বার বাড়ানো হয়েছে। পদ্মায় তো প্রেজেন্ট টোলের রেট ধরে করা হচ্ছে,’ বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুর টাকা সেতু কর্তৃপক্ষকে ১ শতাংশ হার সুদে সরকারকে ফেরত দিতে হবে। সুতরাং সেতু কর্তৃপক্ষকে ওই জায়গা থেকে টাকা উপার্জন করতে হবে। পৃথিবীর কোথাও এই ধরনের স্থাপনার ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় পয়সা না দিয়ে যাওয়ার কোনো সিস্টেম নেই।’
সময় জার্নাল/এলআর