স্পোর্টস ডেস্ক:
সমালোচকদের জবাব ব্যাটের মাধ্যমে দারুণভাইবেই দিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। দেশের মাটিতে পর পর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে আবারো নিজের জাত চেনালেন দেশসেরা ব্যাটার মুশফিক।
সোমবার শুরু হওয়া শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে যখন বাংলাদেশ ধ্বংসস্তপে পরিণত, ঠিক তখন-ই লিটনকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ান তিনি এবং দারুণ এক সেঞ্চুরি করে দেশকে ভালোভাবেই ম্যাচে রেখেছেন মুশফিক। তার আগে অবশ্য লিটনও দারুণ সেঞ্চুরি পান।
চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে দিয়েছিলেন ধৈর্যের পরীক্ষা। ২৮২ বলে করেছিলেন ১০৫ রান। দেশের হয়ে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ৫ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন চট্টগ্রাম টেস্টে। ঢাকা টেস্টে এসে আবারো পেয়েছেন শত রানের ইনিংস। মিরপুর শের ই বাংলা স্টেডিয়ামে যখন ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা বাংলাদেশ, তখনই লিটন দাসকে নিয়ে টুক টুক করে এগিয়ে যান। লিটন দাসের সেঞ্চুরির পর ২১৮ বলে ১১ চারে মুশফিকও পূর্ণ করেছেন সেঞ্চুরি।
দুজনে মিলে ৬৩ বছরের রেকর্ড জুটিও ভেঙেছেন। ১৯৫৯ সালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে একটি ম্যাচে ২৫ রানের আগে ৫ উইকেট হারানোর পর ওয়ালিস ম্যাথিউস ও সুজাউদ্দিনের করা ৮৬ রানের জুটির পর ৬৩ বছর পর সেই জুটি টপকে গেছেন মুশফিক-লিটন।
এর আগে সকালে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বড় বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই মাহমুদুল হাসান (০) জয়ের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর তামিম ইকবালও সাজঘরে ফেরেন শূন্য রানে।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর অধিনায়ক মুমিনুল হক বিদায় নেন ৯ রান করে। নাজমুল হোসেন শান্ত ৮ রানে ফেরেন বোল্ড হয়ে। সাকিব আল হাসান ব্যাটে বলই লাগাতে পারেননি, শূন্য রানে ফিরতে হয় সাজঘরে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৪৮ রান। লিটন দাস ১২৭ ও মুশফিক ১০০ রানে আছেন অপরাজিত।
সময় জার্নাল/এলআর