নিজস্ব প্রতিনিধি: জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় আত্মসমর্পণ করতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা মহানগর আদালতে এসেছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর সম্রাটকে পুলিশ পিকআপে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার (২৪ মে) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে বিএসএমএমইউ থেকে ঢাকা মহানগর আদালত এলাকায় এসে পৌঁছান সম্রাট। এসময় সম্রাটকে নিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিন আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন সম্রাট। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী তার জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে জামিন শুনানির জন্য আগামী ৯ জুন দিন ধার্য করেন।
সম্রাটের আইনজীবী তাকে অ্যাম্বুলেন্সে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন। আদালত আইনজীবীর আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ পিকআপে তাকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে মঙ্গলবার সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রাখেন চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৩০ মে দিন ধার্য করা হয়েছে।
গত ১৮ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এ মামলায় সম্রাটের জামিন বাতিল করেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে সাতদিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সারাদেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওই বছরের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলায় ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। পরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। অভিযোগপত্রে সম্রাটের বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
সময় জার্নাল/এলআর