স্টাফ রিপোর্টার, সময় জার্নাল : গুলশান বারিধারা জে ব্লকের সাউথ পয়েন্টে নতুন-পুরাতন মিলে প্রায় ৫০টির বেশি গাড়ি মেরামতের ওয়ার্কশপ রয়েছে। এর সাথে গড়ে উঠেছে গাড়ি সংক্রান্ত পার্টসেরও দোকান। সব মিলিয়ে প্রায় শতাধিক দোকান নিয়ে মার্কেটটি।
করোনার ঊর্ধ্বগতিতে সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের টানা লকডাউন শুরু হয়েছে। কয়েকটি ওয়ার্কশপ ও দোকান বন্ধ থাকলেও বেশিরভাগই রয়েছে খোলা। লকডাউনের প্রথমদিনে কোন ধরণের কাজ না থাকায় অবসর সময় পার করছেন মালিক-শ্রমিকরা। হতাশায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
কয়েকজন ব্যবসায়ী সময় জার্নালকে জানান, অফিস-আদালত বন্ধ রয়েছে। গাড়ি চললেই কাজের চাপ থাকে। কাজ না থাকায় অবসর সময় পার করতে হচ্ছে। গতবারের লকডাউনে আমাদের অবস্থা এমনিতে খারাপ হয়ে গেছে। এ বছরের লকডাউন যেন আর না বাড়ানো হয়। বাড়ালে আমাদের পথে নামতে হবে। সরকারের প্রতি আমাদের এটাই অনুরোধ।
তারুফ অটো সলোশনের মালিক তানভীর আহমেদ নিলয় ও রাজু আহমেদ রাজ সময় জার্নালকে বলেন, আমরা এ ব্যবসায় নতুন এসেছি। একেবারেই নতুন আমরা। মাত্র একমাস হলো ওয়ার্কশপ দিয়েছি। অনেক টাকা ইনভেস্ট করা হয়ে গেছে। প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা ভাড়া দিতে হবে। কর্মচারীর বেতনসহ প্রায় ২ লাখ টাকা প্রায় খরচ রয়েছে। এখন লকডাউন পড়ায় আমরা চরম হতাশায় রয়েছি। বিকল্প চিন্তা বের করে সরকারকে লকডাউন তুলে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
আল বারাকা অটো সেন্টারের মালিক সিহাব সময় জার্নালকে বলেন, আমি গাড়ির পার্টস বিক্রি করি। ওয়ার্কশপগুলোতে কাজ না থাকায় আমারও বিক্রি নেই। আমি অনেকদিন ধরে এ ব্যবসার সাথে জড়িত। গত লকডাউনে আমার অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে গেছে ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। এখন যদি আবারও লকডাউন চলমান থাকে তাহলে আমরা শেষ হয়ে যাব।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (৪ এপ্রিল) ১১ দফা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের অনুমোদ দিয়েছে।
সময় জার্নাল/আরইউ