মোঃ এমদাদ উল্যাহ, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
সম্পূর্ণ অবৈতনিক ও ডিজিটাল শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় প্রশংসা ভাসছে ইসমাইল চৌধুরী কিন্ডার গার্টেন এন্ড হাইস্কুলের পরিচালনা পর্ষদ। বর্তমানে নার্সারী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ১৮০ জন ছাত্র-ছাত্রীর সম্পূর্ণ অবৈতনিক পড়ালেখা করছে। প্রতিষ্ঠাতা শিল্পপতি আবদুল মতিন চৌধুরীর সেবামূলক এ কার্যক্রমে খুশি এলাকার গরীব, অসহায় ও দিনমজুর পরিবারসহ সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকার শিশুদের উন্নত শিক্ষার কথা বিবেচনা করে ২০১৭ সালে বিশিষ্ট শিল্পপতি আবদুল মতিন চৌধুরীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইসমাঈল চৌধুরী কিন্ডার গার্টেন এন্ড হাইস্কুল। এটি সম্পূর্ণ অবৈতনিক ও সেবামূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে ডিজিটাল যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠ দান করা হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা বিকাশে সর্বোচ্চ ও উন্নতমানের আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি পর্যাক্রমে ৯ম থেকে একাদশ শ্রেণিতে উন্নীত করা হবে। শিল্পপতি আবদুল মতিন চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী।
বুধবার অবৈতনিক কার্যক্রমের প্রশংসা করে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র রিফাত বলেন, ‘আমরা অবৈতনিকভাবে পড়লেও এখানে শিক্ষার মান অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে ভালো। এখানের শিক্ষক-শিক্ষিকারা আন্তরিকতার সাথে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করান। এতে আমরা খুশি’।
জাহাঙ্গীর হোসেন নামের এক অভিভাবক বলেন, ইসমাঈল চৌধুরী কিন্ডার গার্টেন এন্ড হাইস্কুলে আমার এক ছেলে চতুর্থ শ্রেণী ও মেয়ে সপ্তম শ্রেণীতে অধ্যয়ন করছে। গত ৪ বছর ধরে স্কুল কর্তৃপক্ষ দুই ছেলে-মেয়ের কোন ধরণের বেতন নেয়নি। পড়ালেখার মান অত্যন্ত ভালো। স্কুলের পড়া স্কুলেই শেষ করা হয়। বাইরে কোন ধরনের প্রাইভেট পড়তে হয় না। অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে পাঠদান করা হয়। স্কুলের পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের কঠোর পরিশ্রমে আমার ছেলে-মেয়ের মত অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরাও পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে আসছে।
ইসমাইল চৌধুরী কিন্ডার গার্টেন এন্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ মহিউদ্দিন শহীদ বলেন, আমরা এলাকার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে পাল্লা দিয়ে শিক্ষার মান উন্নত করার প্রতিযোগিতা করে পাঠদান অব্যাহত রেখেছি। প্রতিষ্ঠানের মালিকদের উদ্দেশ্য আদর্শ সমাজ গঠনে এলাকার শিশুদের সরকারী নীতিমালা এবং বাস্তব ভিত্তিক কারিকুলামের সমন্বয়ে আধুনিক শিক্ষার আলোকে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সাফল্য অর্জনের উপযোগী দক্ষ, আদর্শ ও যোগ্য জনশক্তি সৃষ্টির মাধ্যমে এলাকার জনগণের সেবা এবং শিক্ষা বঞ্চিত অজোপাড়ার বালক-বালিকাদের মান সম্মত শিক্ষা প্রাপ্তি নিশ্চয়তা প্রদান করা।
সময় জার্নাল/এলআর