সময় জার্নাল ডেস্ক : শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা উন্নয়নের পূর্বশর্ত বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের জন্য শান্তি আবশ্যক। আমরা লোকদের জড়িত করি যাতে তাদের সমর্থন শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করতে পারে।’ সোমবার সকালে গণভবনে আফগানিস্তানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আব্দুল কাইয়ুম মালিকজাদ সৌজন্য সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। সূত্র : বাসস।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বৈঠকে আফগানিস্তানের দূত প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ আফগান ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারী হওয়ায় সকলের জন্যই সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমরা সকলে সম্মিলিতভাবে লড়াই করছি।’
বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের সম্পর্ককে চমৎকার আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করেছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ এই পররাষ্ট্রনীতির অনুসারী।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় আফগানিস্তানের উন্নয়নে তাঁর সহযোগিতার আকাঙ্ক্ষা ও ব্যক্ত করেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের এনজিও ব্রাক আফগানিস্তানের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সেখানে কাজ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্টের প্রতি তাঁর শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
আফগান রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ চমকপ্রদ অগ্রগতি অর্জন করায় তাঁর ভূয়শী প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন সকলের জন্য মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।’
আফগান রাষ্ট্রদূত আরও বলেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে।
তিনি ঢাকাস্থ আফগানিস্তানের দূতাবাসকে সহযোগিতা প্রদানের জন্যও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, বিশেষ করে দু’দেশের মধ্যে বেসরকারী খাতে সহায়তা বাড়াতে পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে।
তিনি আফগানিস্তানে বাংলাদেশের দূতাবাস পুনরায় চালু করতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড.আহমদ কায়কাউস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সময় জার্নাল/ইএইচ