সময় জার্নাল ডেস্ক :
রোপণের কৌশলে ধানের চারায় জাতির জনকের যে অবয়ব ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বগুড়ার শেরপুরে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় শস্যচিত্র হিসেবে তা স্থান করে নিয়েছে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের পাতায়। কৃষকের শ্রম-ঘাম আর মমতার সঙ্গে শিল্পপিপাসু মানুষকে নিয়ে এ কাজটির নেপথ্যে রয়েছে কৃষি উপকরণ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার।
এ শস্যচিত্রের আয়তন ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৩০ বর্গমিটার। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ এই প্রতিকৃতিকে ‘লার্জেস্ট ক্রপ ফিল্ড মোজাইক (ইমেজ)’ শাখায় নতুন বিশ্ব রেকর্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের সদস্য সচিব এবং অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবাষির্কীতে যতগুলো অনুষ্ঠান হয়েছে তার প্রায় সবগুলো রাজধানী কিংবা শহর কেন্দ্রিক। অথচ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ছিলেন গ্রামীন অর্থনীতি উন্নয়নের কারিগর। অসম্প্রদায়িক বাঙালি চেতনার শ্রেষ্ঠ্যতম প্রবক্তা। তিনি চেয়েছিলেন এমন একটি দেশ, যেখানে ক্ষুধা -দারিদ্র ও অর্থনৈতিক বৈষম্য থাকবে না।
শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু পৃথিবীর সর্ববৃহত্তম শিল্পকর্ম তাও আবার কৃষি ফসলকে ঘিরে। এখানে আরেকটি অর্জনের বিষয় এই শিল্পকর্মটিতে যে ধানের বীজ ব্যবহার করা হয়েছে তা বাংলাদেশেরই প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ারের দুটি ধানের জাত। যা দিয়ে শৈল্পিক এবং নান্দনিক ভাবে বঙ্গবন্ধুর এই চিত্রটিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য রাষ্ট্রপতি শিল্পউন্নয়ন পদকেও ভুষিত হয়েছিল ।
সময় জার্নাল/ইএইচ