শাহিনুর ইসলাম প্রান্ত, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের রবিউল ইসলাম নামে এক গ্রাম পুলিশকে মারধর করে ফেনসিডিল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই ইউনিয়নের এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম জাহেদুল ইসলাম জাহিদ। তিনি উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের উত্তর জাওরানী এলাকার এহসান আলীর ছেলে এবং ওই ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। ভুক্তভোগী গ্রাম পুলিশ রবিউল ইসলাম ওই ইউনিয়নের মধ্যম কাদমা এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ জাওরানী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গ্রাম পুলিশ রবিউল ইসলাম পরের দিন শুক্রবার চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫ / ৭ জনের নামে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ ঘটনায় অন্য অভিযুক্তরা হলেন, জাহিদের ভাই মামুন, একই এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে জুয়েল ও নরুল ইসলামের ছেলে রুহুল।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ছাত্রলীগ নেতা জাহেদুলের ভাই মামুন ও জুয়েল মোটরসাইকেলে বস্তা ভর্তি ফেনসিডিল নিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা কালীগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন। গ্রাম পুলিশ রবিউলের উপস্থিতি বুঝতে পেয়ে মামুন ও জুয়েল মোটরসাইকেলটি ফেলে রেখে দৌড়ে পালিয়ে যান। এ সময় গ্রাম পুলিশ স্থানীয়দের উপস্থিতিতে রবিউল মোটরসাইকেলে থাকা ব্যাগটি খুললে তাঁর ভেতরে ভারতীয় ফেনসিডিল দেখতে পান। পরে বিষয়টি ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে ফোন করে জানান। এরপর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত মাদকগুলো ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ তাঁর ভাই মামুন ও অভিযুক্তরা গ্রাম পুলিশ রবিউলের ওপর হামলা চালান। পরে তাঁকে মারধর করে উদ্ধারকৃত ফেনসিডিল ও মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নিয়ে ছিটকে পড়েন। পরে স্থানীয়রা ওই গ্রাম পুলিশকে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
গ্রাম পুলিশ রবিউল ইসলাম বলেন, জাহিদ ও তাঁর ভাই মামুনসহ মাদক কারবারিরা আমাকে মারধর করে উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেল ও ফেনসিডিলগুলো নিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আমি বাড়িতে চলে আসি।’
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলাম জাহিদ কে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফাহিম শাহরিয়ার খান জিহান বলেন, বিষয়টি জানা নেই। অভিযোগ পেলে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মন্ডল বলেন, এ ঘটনায় গ্রাম পুলিশকে থানায় লিখিত অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম বলেন, রবিউল ইসলাম নামে এক গ্রাম পুলিশকে মারধরের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমআই