স্পোর্টস ডেস্ক:
দিনের তখন আর মাত্র ওভার আটেক বাকি। তখনো ইংল্যান্ড যথেষ্ট স্থিতধী ব্যাটিংই করছিল। তবে শেষ রক্ষা হলো না আর। শেষ বিকেলের এক ঝড়ে দুমড়ে মুচড়ে গেছে ইংলিশ মিডল অর্ডার, ৮ রানের ব্যবধানে স্বাগতিকরা হারিয়েছে ৫ উইকেট। তাতে খানিকটা বিপদেই পড়ে গেছে বেন স্টোকসের দল।
লর্ডস টেস্টের প্রথম দিনে এর আগেও অবশ্য বোলাররাই রাজত্ব করেছেন। জেমস অ্যান্ডারসন আর ম্যাথিউ পটসের তোপে নিউজিল্যান্ড গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ১৩২ রানেই। এরপর ইংলিশরা ভালো শুরুর পরও দিন শেষ করেছে ১১৬ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে।
দিনের শুরু থেকেই অ্যান্ডারসন ছিলেন দুর্বোধ্য। উইল ইয়াংকে ফিরিয়ে শুরু তার আগুনে বোলিংয়ের, এরপর টম ল্যাথামকেও ফেরালেন অল্পেই। এরপর লর্ডসের পেস উৎসবে যোগ দেন স্টুয়ার্ট ব্রড আর পটসও। ডেভন কনওয়েকে ব্রড, আর অভিষিক্ত পটস তুলে নেন কেন উইলিয়ামসনকে। সফরকারী নিউজিল্যান্ড ১২ রানে খুইয়ে বসে ৪ উইকেট।
টম ব্লান্ডেল আর ড্যারিল মিচেল মিলে পরিস্থিতিটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তবে মধ্যাহ্ন বিরতির একটু আগে বিদায় নেন দু’জনে। ৩৬ রানে ৬ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। বিরতি থেকে ফিরে কাইল জেমিসনও ফিরলেন অ্যান্ডারসনের শিকার হয়ে। তখন সফরকারী নিউজিল্যান্ড রীতিমতো বড় বিপর্যয়েরই আভাস পাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য দলটিকে দুই অঙ্কের রান নিয়ে অলআউট হওয়ার শঙ্কা বিদায় করে দলটি। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের ৪২ রানের ইনিংসে ভর করে শেষমেশ স্কোরবোর্ডে ১৩২ রান তোলে কিউইরা।
এরপর ইংল্যান্ড জবাবটা দিচ্ছিল ভালোভাবেই। দুই ওপেনার অ্যালেক্স লিস আর জ্যাক ক্রলি ইংল্যান্ডকে এনে দেন ৫৯ রানের উদ্বোধনী জুটি। কাইল জেমিসনের শিকার হয়ে ক্রলি ফেরেন শুরুতে, একটু পর টিম সাউদির শিকার হয়ে লিসও। এরপরও লিড নেওয়ার পথেই ছিল ইংলিশরা।
তবে শেষ বিকেলে বোল্ট সাউদিদের তোপে ৯২ রানে ২ উইকেট থেকে মাত্র চার ওভারের ব্যবধানে ১০০ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে বসে ইংল্যান্ড। এরপর বেন ফোকস আর স্টুয়ার্ট ব্রড মিলে পরিস্থিতি সামলানোর দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন কাঁধে। ফলে ১১৬ রান নিয়ে সফরকারীদের চেয়ে ১৬ রান কমে দিন শেষ করে ইংল্যান্ড।
এমআই