“জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সকলে সম্মিলিতভাবে একটা সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন, মাদকের বিরুদ্ধেও এ ধরনের আন্দোলন গড়ে উঠবে আমরা চাই।”
গত
মাসে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটিলিয়নের (র্যাব) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর
অনুষ্ঠানে জঙ্গিবাদের মতো মাদকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান পরিচালনায়
র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর
থেকে সারাদেশে চলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানে শতাধিক মানুষ
নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনাকে ‘বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করে
সমালোচনায় মুখর হয়েছেন মানবাধিকারকর্মীরা।
সমালোচনার মধ্যেই গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মাদক নির্মূলে অভিযান অব্যাহত রাখার কথা বলেন।
রোববার
গণভবনের অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা আবারও
উল্লেখ করে বলেন, “দেশ থেকে আমারা সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ যেমন দূর করতে
যাচ্ছি, মাদকও আমরা দূর করতে চাই। এজন্য সামাজিকভাবে আন্দোলন গড়ে তোলা
দরকার। সকলকে সচেতন হওয়া দরকার।
“আমরা চাই না যে, আমাদের ছেলেমেয়েদের
ভবিষ্যতটা নষ্ট হোক, কেউ সন্ত্রাসী হয়ে যাক, কেউ মাদকাসক্ত হোক এবং
প্রত্যেকটা পরিবার কষ্ট ভোগ করুক। আমরা চাই প্রত্যেকটা ছেলেমেয়ে লেখাপড়া
শিখবে, মানুষের মতো মানুষ হবে, দেশের উন্নয়নে কাজ করবে, নিজের জীবনকে
সুন্দরভাবে গড়ে তুলবে এবং উন্নত জীবন পাবে। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।”
অভিভাবকদের
সন্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা
বলেন, “প্রতিটা অভিভাবক নিজের সন্তান, নিজের ছেলেমেয়ে কোথায় যায়, কী করে,
কার সাথে মেশে…তাদের সাথে একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলা।”
শিক্ষক
ও ধর্মীয় নেতাদের মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা
বলেন, “সকলের এ ব্যাপারে সচেতনতা দরকার। কারণ আমরা দেশটাকে সুন্দরভাবে
গড়তে চাই।”
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার ধরলা নদীর ওপর ‘শেখ হাসিনা ধরলা সেতু’ উদ্বোধন করেন।
এছাড়া
বিআইডব্লিউটিসির চারটি ১৫৮ টিইইউ সেলফ প্রোপেল্ড মাল্টিপারপাস ইনল্যান্ড
কন্টেইনারবাহী জাহাজ, মুন্সিগঞ্জ-গজারিয়া ফেরি সার্ভিস এবং বিআইডব্লিউটিএর
চারটি আট ইঞ্চি কাটার সাকশন এম্ফিবিয়ান ড্রেজার উদ্বোধন করেন তিনি।