নিজস্ব প্রতিনিধি: হজ এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে হজ ফ্লাইটের টিকিট বুকিংয়ে দেরি করা, ফ্লাইটের নির্ধারিত আসন পূর্ণ করতে অসহযোগিতা এবং ফ্লাইটের সময়সূচি না মানার অভিযোগ উঠেছে। এসব কারণে এজেন্সিগুলোর অসহযোগিতায় শেষ মুহূর্তে হজ ফ্লাইট নিয়ে সংকটের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ ধরনের পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য আগামী ৩ দিনের মধ্যে এ বছর হজ কার্যক্রমে অংশ নেওয়া প্রতিটি হজ এসেন্সিকে তাদের হাজীদের (যারা এখনো সৌদি আরব যাননি) বিপরীতে নির্ধারিত এয়ারলাইন্সের আসন রিজার্ভ করে সেই তথ্য ছক অনুযায়ী হজ অফিসের পরিচালকের কাছে পাঠানোর জন্য এজেন্সিগুলোকে অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।
এ বিষয়ে এজেন্সিগুলোকে সতর্ক করে কয়েক দফা চিঠি দিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। কয়েকটি এজেন্সিকে দেওয়া হয়েছে কারণ দর্শানোর নোটিশ। সর্বশেষ এজেন্সিগুলোর অসহযোগিতার বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ জানিয়েছে ঢাকার সৌদি দূতাবাস।
চলতি বছর হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী ৩৫৯টি এজেন্সি এবং হাবের সভাপতি ও মহাসচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানানো যাচ্ছে যে, ঢাকার রাজকীয় সৌদি দূতাবাস এক জরুরি পত্রে জানিয়েছে, বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলো হজযাত্রীদের টিকিট রিজার্ভেশনে বিলম্ব করছে এবং এরই মধ্যে বুকিংকৃত হজ ফ্লাইটের যাত্রী প্রেরণে ফ্লাইটের সময়সূচি মানছে না। এতে সার্বিক হজ ব্যবস্থাপনায় ও মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের কার্যক্রম বাস্তবায়নে কৃত্রিম সমস্যার সৃষ্টি করছে। তাদের এ ধরনের অবহেলার কারণে হজ ফ্লাইট বাতিল হলে সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনা ব্যাহত হবে।
রাজকীয় সৌদি দূতাবাস এ বিষয়ে বেসরকারি হজ ব্যবস্থাপনায় হজ এসেন্সিসমূহকে হজ ফ্লাইটের পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি কঠোরভাবে অনুসরণ এবং প্রতিটি হজ ফ্লাইটের সব আসন পূর্ণ করার অনুরোধ জানিয়েছে।
সোমবার পর্যন্ত সৌদি আরবে মোট হজ ফ্লাইট গেছে ২৪টি। এরমধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৪টি, সৌদিয়ার ৬টি এবং ফ্লাইনাসের ৪টি ফ্লাইট রয়েছে।
হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট গত ৫ জুন শুরু হয়েছে। সৌদি আরবে যাত্রার শেষ ফ্লাইট ৩ জুলাই। হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ১৪ জুলাই। ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে ৪ আগস্ট।
সময় জার্নাল/এলআর