শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

পদ্মা সেতু আশীর্বাদ, বন্যার সময় যোগাযোগে সহজ হবে: প্রধানমন্ত্রী

রোববার, জুন ১৯, ২০২২
পদ্মা সেতু আশীর্বাদ, বন্যার সময় যোগাযোগে সহজ হবে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি: বন্যার প্রেক্ষাপটে সহজ যোগাযোগের ক্ষেত্রে জাতির জন্য পদ্মা সেতু একটি আশীর্বাদ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

প্রধানমন্ত্রী আজ রোববার সকালে তাঁর কার্যালয়ের (পিএমও) শাপলা হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এই আশাবাদ ব্যক্তি করেন। আন্তর্জাতিক ক্রীড়াক্ষেত্রে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনা ক্রীড়াবিদদের মধ্যে সম্মাননার চেক বিতরণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২৫ তারিখে (জুন) পদ্মা সেতু আমরা উদ্বোধন করব, ইনশা আল্লাহ। এই উদ্বোধনের পরে এটাও (পদ্মা সেতু) আল্লাহর একটা আশীর্বাদ হবে। কেননা, দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগটা আমরা অব্যাহত রাখতে পারব।’

বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি, পদ্মা সেতু এমন একটা সময় উদ্বোধন করতে যাচ্ছি, সে সময় বন্যা শুরু হয়ে গেছে। এই বন্যা কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলেও যাবে। সে সময় পণ্য পরিবহন, বন্যা মোকাবিলা, বন্যার সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তাঁদের সহযোগিতা করার একটা বিরাট সুযোগ আমাদের আসবে। বন্যার্তদের রিলিফ দেওয়া থেকে ওষুধ সরবরাহ, খাদ্য সরবরাহের বিষয়টি আরও সহজতর হবে।’ 

১৯৮৮ সালের বন্যায় গোপালগঞ্জে আটকা পড়ার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, তখন এ রকম পদ্মা সেতু থাকলে সহজেই চলে আসা সম্ভব হতো। 

১৯৯৮ সালে বাংলাদেশের সব থেকে ভয়াবহ ও দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঠিক সেই বন্যার আগেই আমরা যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধন করেছিলাম। আর সেটা করেছিলাম বলেই উত্তরবঙ্গ থেকে পণ্য পরিবহনসহ সকল কাজের সুবিধা হয়।’

সরকারপ্রধান বলেন, সে সময় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রচার ছিল, বন্যায় প্রায় দুই কোটি লোক না খেতে পেয়ে মারা যাবে। কিন্তু তাঁর সরকার বলেছিল, একজন মানুষকেও না খেয়ে মরতে দেবে না। আর সেটা সম্ভব হয়েছিল। এ কাজে সেই সেতু (বঙ্গবন্ধু সেতু) তখন বিরাট কাজে এসেছিল।

খেলাধুলাকে এগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে দেশে বিশ্বমানের ক্রীড়াবিদ তৈরিতে সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বন্যাও আমরা মোকাবিলা করব। খেলাধুলাও আমাদের চলবে। সবই আমাদের চলবে। এটাই আমাদের জীবন। এটাকেই মেনে নিতে হবে। এটাই বাস্তব। বাস্তবতার সঙ্গে তাল মিলিয়েই আমাদের চলতে হবে। বিশ্বসভায় আমরা মাথা উঁচু করেই চলব।’

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাফ-২০২১ চ্যাম্পিয়ন নারী অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ফুটবল দলের ৩৩ জনসহ মোট ৮৮ ক্রীড়াবিদকে আর্থিক সম্মাননা প্রদান করা হয়। বাকি খেলোয়াড়ের মধ্যে মুজিব বর্ষ ফিফা আন্তর্জাতিক ফুটবল সিরিজ ২০২০-এর ৩৩ জন ও বঙ্গবন্ধু চার জাতি ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২২-এর বিজয়ী ২২ জন রয়েছেন।

অনুষ্ঠানে সাফ-২০২১ চ্যাম্পিয়ন নারী অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন মারিয়া মান্দা, খেলোয়াড় মনিকা চাকমা, প্রধান প্রশিক্ষক গোলাম রব্বানী ছোটন, বাংলাদেশ শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন ফয়সাল খান, বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন জামাল ভূঁইয়ার হাতে আর্থিক সম্মানীর চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানের শুরুতে তিন শ্রেণির ক্রীড়া দলের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি (বাফুফে) কাজী মো. সালাহউদ্দিন, নারী অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক মারিয়া মান্দা, বাংলাদেশ শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ফয়সাল খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম।

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল