সর্বশেষ সংবাদ
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রেখেছিলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অধিকতর গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক করিবার লক্ষ্যে সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করিবার জন্য জাতির পিতার কন্যা হিসেবে আপনার কোনো বিশেষ পরিকল্পনা আছে কি না; থাকিলে, তাহা কী?’ জবাবে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার বাংলাদেশের সংবিধান এবং আইন অনুযায়ী স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ সম্পাদন করে থাকেন। নির্বাচন কমিশনের চাহিদা মোতাবেক সরকার সহায়তা করে থাকে।আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অধিকতর গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে সরকারের নেওয়া ১১টি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে সংবিধানের বিধান অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠন আইন করা হয়েছে। গত ২৭ জানুয়ারি এটি জাতীয় সংসদে পাস হয়। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বেই বহু প্রত্যাশিত এ আইন বাস্তব রূপ লাভ করল। সংসদনেতা বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন সংসদে উত্থাপিত হলে বিরোধী দলের প্রস্তাবিত ২২টি সংশোধনী গ্রহণ করা হয়, যা নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য,ও নিরপেক্ষ করার প্রথম পদক্ষেপ।প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আধুনিক পদ্ধতির ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) চালু করা হয়েছে। সব রাজনৈতিক দল কর্তৃক নির্বাচনে অংশগ্রহণসহ দলীয় কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করার পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৮(৪) অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন এবং ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সব নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ধারা ৪ ও ৫ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য। সে লক্ষ্যে নির্বাচনী কাজে নির্বাহী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়মিত সহায়তার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয়সংখ্যক নিয়োগ প্রদান করা হয়ে থাকে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার নিবন্ধন করেছিল। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করে। তৎপরবর্তীতে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ভোটার তালিকা আইন এবং জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন প্রণয়ন করেছে। ভোটার তালিকা আইন প্রণয়নের ফলে নির্বাচন কমিশন বিএনপির আমলে নিবন্ধিত সব ভুয়া ভোটার বাদ দিয়ে প্রকৃত অর্থে যারা ভোটার তাদের নিবন্ধন করেছে এবং সময়ে সময়ে, নিবন্ধন তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধন প্রদান করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। নিবন্ধিত সব দলের অংশগ্রহণে আগামী জাতীয় নির্বাচন করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন সব অংশীজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও যোগাযোগ রক্ষা করে। নির্বাচনী তফসিল, নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও নির্বাচনের সামগ্রিক আয়োজনের ব্যাপারে সব অংশীজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ভোটার নিবন্ধন, ভোটার তালিকা তৈরি ও হালনাগাদ করা এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়েও নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন আলাপ–আলোচনা করে থাকে। সংসদনেতা শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ করার জন্য প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর থেকে আচরণবিধি প্রতিপালন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পর্যাপ্তসংখ্যক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়। এ ছাড়া স্থানীয় প্রশাসন ও রিটার্নিং অফিসারের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ড নিয়োগ করা হয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম মনিটরিং এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষার্থে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বিভিন্ন কমিটি গঠন করা হয়ে থাকে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ইভিএমের ব্যবহারপদ্ধতি সম্পর্কে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় সারা দেশে প্রচুর লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকার জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে জনসাধারণকে ইভিএম সম্পর্কে অবহিত করার জন্য ডেমোনস্ট্রেশন এবং ভোটার শিক্ষণের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভোট গ্রহণের দুই দিন আগে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটারদের ভোট গ্রহণের পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত করার লক্ষ্যে মক ভোটিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে।সময় জার্নাল ডেস্ক: সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সঠিকভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সরকার ও নির্বাহী কর্তৃপক্ষের আবশ্যিক দায়িত্ব।আজ বুধবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আশার কথা জানান। তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণসহ দলীয় কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করার পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অধিকতর গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও সংসদকে জানান প্রধানমন্ত্রী।এসএম
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল