সময় জার্নাল ডেস্ক:
বাসযোগ্য শহরের তালিকায় বরাবরের মতোই তলানিতে রয়েছে ঢাকা। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বা ইআইইউ’র করা এ বছরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ১৬৬তম। বিশ্বের ১৭২টি শহরের মধ্যে করা গবেষণায় বাংলাদেশের থেকে পেছনে আছে মাত্র ৬টি শহর। এগুলো হচ্ছে নাইজেরিয়ার লাওস, লিবিয়ার ত্রিপলি, আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স, পাকিস্তানের করাচি এবং পাপুয়া নিউনিগির পোর্ট মোরসবি।
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের ‘বাসযোগ্য শহরের বৈশ্বিক তালিকা ২০২২’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাসযোগ্য শহরের তালিকার শেষের ১০টি শহরের মধ্যে রয়েছে ঢাকা। যদিও গত বছরের তুলনায় কয়েক ধাপ এগিয়েছে ঢাকা। ২০২১ সালের রিপোর্টে ১৪০ শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ছিল ১৩৭। সে হিসেবে এ বছর ঢাকার থেকেও খারাপ অবস্থার শহরের সংখ্যা বেড়েছে। তাছাড়া মোট ১০০ পয়েন্টের হিসেবেও ঢাকার পয়েন্ট বেড়েছে। মোট ১০০ সূচকের মধ্যে ঢাকার এবারের স্কোর ৩৯.২, গত বছর যা ছিল ৩৩.৫।
ফ্রান্স ২৪-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ বছর বিশ্বের সবচেয়ে বাসযোগ্য শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার নাম। ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের কারণে কিয়েভকে এ বছর এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
তবে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও রাশিয়ার শহর মস্কো ও পিটার্সবার্গ এ তালিকায় স্থান পেয়েছে। গত বছর বাসযোগ্য শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে ছিল নিউজিল্যান্ডের শহর অকল্যান্ড। এ বছর সে স্থান দখল করেছে ভিয়েনা। অন্যদিকে অকল্যান্ড চলে গেছে ৩৪তম অবস্থানে। আর ভিয়েনা ১২তম অবস্থান থেকে উঠে এসেছে শীর্ষে।
মূলত ৫টি মানদণ্ড বিবেচনায় নিয়ে এ তালিকা করেছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। এগুলো হচ্ছে স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামো। বসবাসযোগ্য শীর্ষ ১০টি শহরের মধ্যে ৬টিই ইউরোপের। ভিয়েনা ছাড়া অন্য শহরগুলো হচ্ছে, ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন, সুইজারল্যান্ডের জুরিখ ও জেনেভা, জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম। ইউরোপের বাইরের শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে কানাডার ক্যালগারি, ভাঙ্কুভার ও টরন্টো, জাপানের ওসাকা এবং অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন।
গত বছরের মতো এ বছরও বাসযোগ্য শহরের তালিকায় একেবারে তলানিতে রয়েছে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক। শহরটির অবস্থান ১৭২তম।
এমআই