সময় জার্নাল প্রতিবেদক : কোভিড-১৯ জনিত সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে মহাখালীর আইসোলেশন সেন্টারকে আইসিইউসহ ৯ শত শয্যার হাসপাতাল করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত জুম মিটিং এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জনাব জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় কাজ করে যাচ্ছি। তিনি দেশের জনগণের নিরাপত্তায় করোনার ভ্যাকসিন এনেছেন। ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা, করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা, ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমসহ অন্যান্য চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম প্রদানের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। 

জাহিদ মালেক বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট মহামারীকে মোকাবিলা করতে হবে। প্রতিরোধের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। সেজন্য মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাত ধোয়াসহ অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, এবারে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য হল “সকলের জন্য সুন্দর এবং স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়ি”। সকলে মিলেমিশে করোনা মুক্ত বিশ্ব, অসমতা বিহীন মানবিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে। এটাই হোক ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার।

তিনি বলেন, দেশে মানুষের মাঝে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং মৃত্যু, পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অবস্থায় জনগণকে অবশ্যই আরো সচেতন হতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে রোগীদের সেবাকার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যায়ের বর্তমান প্রশাসন কার্যকরী উদ্যোগ নিয়েছে। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য সাধারণ ১০০টি শয্যা, ২০টি কেবিন এবং ১০টি আইসিইউ শয্যা নতুন করে সংযোজন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলে মিলে করোনাভাইরাস জনিত সৃষ্ট সংকট কাটিয়ে উঠার আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপাচার্য।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মেডিক্যাল শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আলী নূর, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ লোকমান হোসেন মিয়া।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডা. সাংগে ওয়াংমো। এতে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ খালেকুজ্জামান। সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, পরিচালক (হাসপাতাল) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ জুলফিকার আহমেদ আমিন, হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তফা জামান প্রমুখসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত ডীনবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জুম লিংক এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সদস্যবৃন্দ, সাবেক উপাচার্যবৃন্দ, একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

সময় জার্নাল/ইএইচ