আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের মহারাষ্ট্রে আগামীকাল বৃহস্পতিবারই সরকারের পতন হয়ে যেতে পারে। নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি। মঙ্গলবার রাজধানী দিল্লিতে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে বৈঠক সেরে মুম্বই ফিরে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারির সাথে সাক্ষাৎ করেছেন বিজেপির পরিষদীয় নেতা দেবেন্দ্র ফডনবিস। আর তার পরেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে আগামী বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকে আস্থাভোট গ্রহণের জন্য রাজ্যপাল নির্দেশ দিয়েছেন বলে রাজভবনের একটি সূত্রে খবর মিলেছে।
গত এক সপ্তাহ অন্তরালে থাকার পরে মঙ্গলবারই প্রথম মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক সঙ্কট নিয়ে প্রকাশ্যে সক্রিয়তা দেখাল বিজেপি। মঙ্গলবার রাতে রাজভবন থেকে বেরিয়ে দেবেন্দ্র বলেন, ‘শিবসেনার ৩৯ জন বিধায়ক সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছেন। কয়েক জন নির্দল বিধায়কও একই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। অঙ্কের হিসাবে স্পষ্ট এই সরকার গরিষ্ঠতা হারিয়েছে। তাই আমরা রাজ্যপালের সাথে দেখা করে দ্রুত আস্থাভোটের দাবি জানিয়েছি।’
দেবেন্দ্রর সাথে দেখা করার পরেই স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশেষ অধিবেশন ডাকার জন্য বিধানসভার সচিবালয়কে রাজ্যপাল নির্দেশ দিয়েছেন বলে ওই সূত্রের খবর। পাশাপাশি তিনি মুখ্যমন্ত্রীকেও আস্থাভোটে মুখোমুখি হওয়ার বার্তা পাঠিয়েছেন। সেই সাথে নির্দেশ দিয়েছেন, পুরো আস্থাভোট-পর্বের ভিডিও করতে হবে।
মাত্র ৪৮ ঘণ্টার নোটিশে রাজ্যপাল কোশিয়ারির আস্থাভোটের নির্দেশ ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। দু’বছর আগে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতকে অনেকটা একই পরিস্থিতিতে দ্রুত আস্থাভোট গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন সে রাজ্যের রাজ্যপাল তথা প্রাক্তন বিজেপি নেতা কলরাজ মিশ্র। সরাসরি ওই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে গহলৌত রাজ্যপালকে জানান, পরিষদীয় বিধি মেনে বিধানসভার অধিবেশন ডাকার আগে ২১ দিনের নোটিশ দেয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে আর এক সাবেক বিজেপি নেতা কোশিয়ারির ‘নির্দেশের’ প্রেক্ষাপটে উদ্ধব কী করবেন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর