টি আই তারেক, যশোর: যশোরের মণিরামপুরে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠজুড়ে বাতাসে ধুলছে সোনালি ধানেরশীষ। ফলন ভাল হওয়ায় এবার কৃষকের চোখেমুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক। আর সপ্তাহ পেরুলেই কৃষকের ঘরে ধান ওঠার ধুম পড়ে যাবে। তবে ইতোমধ্যে দুই একজন কৃষক আগাম ধান কাটা শুরু করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) পাঁচজন দিনমজুর নিয়ে দেড় বিঘা জমির বোরো ধান কাটা শুরু করেছেন হোগলাডাংগা ফলইমারি মাঠের চাষি মাসুম বিল্লাহ কাজল। তিনি স্থানীয় কাজির গ্রামের বাসিন্দা।
মাসুম বিল্লাহ বলেন, ব্রি-২৮ জাতের চারবিঘা বোরো চাষ করেছি। মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই চারা রোপন করেছিলাম। এখন সেই ধান পেকে গেছে। আজ কাটা শুরু করেছি। ধানের বিঘাপ্রতি ফলন প্রায় ৩০ মণ। বাজারে দামও ভাল। মণপ্রতি সাড়ে ১১শ' টাকা। ফলন ও দামে আমি খুশি।
মাহমুদকাটি গ্রামের কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, ব্রি-৬৩ জাতের দুই বিঘা জমির ধান পেকে গেছে। আজ (বৃহস্পতিবার) কাটতে চাইছিলাম। সকালে আবহাওয়া খারাপ দেখে হাত দিইনি। দুই-একের মধ্যে ধান কাটা শুরু করব।
একই গ্রামের কৃষক ইসমাইল হোসেন বলেন, মাঠে এবার সবার ধান ভাল হয়েছে। সামনে ঝড়-শিল নিয়ে ভয়।
মণিরামপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ সাড়ে ২৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। আমনে দাম ভাল পেয়ে অন্য ফসল ছেড়ে এবার কৃষক বোরো চাষে ঝুঁকেছেন। গত বছর বোরো ধানে ব্যাপকহারে ব্লাস্টের আক্রমণ দেখা দেওয়ায় অনেক কৃষক কাঙ্খিত ফলন পাননি। এবছর আবহাওয়া ভাল হওয়ায় ইঁদুরের উৎপাত ছাড়া ধানে তেমন কোনো রোগ দেখা যায়নি। তবে সম্প্রতি ঝড়ো হাওয়ায় কিছু জমিতে শীষ চিটা হয়ে গেছে।
খেদাপাড়া ইউনিয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। আমরা সময়মত কৃষককে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছি। ফলে ধান নিয়ে কৃষককে তেমন কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি।
মণিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, এবার ধানের ফলন ভাল। দিনে তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় এবং সস্প্রতি ঝড়ে কিছুটা ধানের ক্ষতি হয়েছে। এখনো ধান কাটা পড়ার খবর পাইনি। ধানে পাক ধরেছে। আশা করছি দ্রুত কাটা হবে।
সময় জার্নাল/আরইউ